
ড. আব্দুল মঈন খান / ছবি: ফাইল ফটো
ঢাকা: প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের বন্ধ দরজা ১৯৭৫ সালে খুলে দেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
বৃহস্পতিবার চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ের কাই ওয়াহ্ প্লাজায় আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চায়না-ইন্ডিয়া-মায়ানমার ইকোনমিক করিডোর কন্সট্রাকশন (বিসিআইএম)’ শীর্ষক সেমিনারে এ দাবি করেন তিনি।
এ সেমিনারের আয়োজন করে ফরেন এ্যাফেয়ার্স অফিস অফ ইউনান প্রভিন্সিয়াল গভর্নমেন্ট। এতে যোগ দেয় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
সেমিনারে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ১৯৭৫ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নতুন করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। এতে করে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধ দরজা খুলে যায়। সেই থেকে বাংলাদেশ ও চীন পারস্পরিক স্বার্থ ও উন্নয়নে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে কাজ করছে।
চার দেশীয় ইকোনমিক করিডোরকে প্রাচীন শিল্ক রুটের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, নতুন এই করিডোর স্থাপিত হলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে এটি এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক মেরদণ্ডে পরিণত হবে।
ড. মঈন বলেন, রুটটি এস্কাপের মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী কুনমিং থেকে মান্দালয়, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, যশোর হয়ে কোলকাতা পর্যন্ত বিস্তৃত হলে এই চারটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো বেশি লাভবান হবে।
তিনি বলেন, এটি এস্কাপের পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দরকে সংযুক্ত করা যাবে, যা এই রুটের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরো বেশি গতিশীল করবে এবং এই অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
এর আগে সেমিনারে বিএনপি নেতাদের অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ইউনান প্রভিন্সিয়াল সরকারের বৈদেশিক কার্যালয়ের ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল মি: জিনচেং।
তিনি পাওয়ার পয়েন্ট প্রক্ষেপণের মাধ্যমে কোলকাতা থেকে যশোর-ঢাকা হয়ে পুনরায় ভারতের আসামের শিলচরে প্রবেশ করে মায়ানমারের মান্দালয় হয়ে চীনের কুনমিং পর্যন্ত একটি রুট প্রদর্শন করেন।
এরপর চীনের স্থানীয় সময় বেলা ২টা ৪০ মিনিটে বিএনপি’র প্রতিনিধি দলকে কুনমিং সিটির ইকোপার্ক পরিদর্শণে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টায় চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির ইউনান প্রাদেশিক কমিটির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মি: কিউহি’র সাথে কাই ওয়াহ্ প্লাজা হোটেলে বিএনপি প্রতিনিধি দলের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান, বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্র বিষয়ক সহ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ও যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ সাঈদ সাবু।
বাংলাদেশ সময: ০১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৪