
ঢাকা: মাত্র ৬ মাস পর আবারও সংশোধন হচ্ছে বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা।
এর আগে গত ৬ মার্চ গেজেটেড কর্মকর্তা ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতেই আবার সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বুধবার প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় বিধিমালার এ সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এ বিধিমালায় সংশোধন আনা প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০০৬ সংশোধন করে বাংলাদেশ সচিবালয় ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নন-গেজেটেড কর্মচারী বিধিমালা ২০১৪ জারি করা হয়েছে।
গত বছর ৫ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় শতকরা ৭০ ও মৌখিক পরীক্ষা শতকরা ৩০ নম্বর নির্ধারণ করার নির্দেশ জারি করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সচিবালয় ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০১৪ -এর তফসিল ৩ ও ৬ সংশোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
গত বছরের ২২ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ সচিবালয় ক্যাডার বহির্ভূত ‘গেজেটেড কর্মকর্তা, নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০০৬’ এর তফসিলভুক্ত অফিস সহকারী পদের নাম পরির্বতন করে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক করা হয়।
এ কারণে বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্যাডার বহির্ভূত ‘গেজেটেড কর্মকর্তা-নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৪’ এর তফসিল-১ এর ক্রমিক ৮ বিলুপ্ত এবং সে অনুযায়ী ক্রমিক ৪ এর নিয়োগ পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অংশ এবং তফসিল-৩ থেকে অফিস সহকারী শব্দ দু’টি বিলুপ্ত করে সংশোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধিমালা পরীক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভায় বিভাগীয় প্রার্থীদের বসয়সীমা শিথিলের বিষয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বিভাগ যে বয়সসীমা পর্যন্ত শিথিলযোগ্য রয়েছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিয়োগ বিধি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুবিভাগ বর্ণিত বসয়সীমা ৪০ বছর বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিধিগত কোনো বাধা নেই মর্মে মতামত দেওয়া হয়। চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণীর পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৬ বছরের পরির্বতে ৫ বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত রাখার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে এই পদে পদোন্নতির কোটা শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়। সরকারি অফিসের বিদ্যমান পুরোনো এমএলএসএস, দপ্তরি এবং ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর পদনাম তিনটি সংশোধন করার সুপারিশ করা হয়।
এই নিয়োগবিধি প্রণয়নের মাধ্যমে কর্মচারীদের পদোন্নতির পথ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সচিবালয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর কল্যাণ সমিতি সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৪