প্রতিজ্ঞা ছিলো চলচ্চিত্র সফল হলে আমরা বিয়ে করব : অমিতাভ

সিয়াম আনোয়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | আপডেট: ১৬:৫০, অক্টোবর ১১, ২০১৩

১১ অক্টোবর বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের ৭১তম জন্মদিন। তার সাম্প্রতিক ব্যস্ততা এবং স্মৃতিচারণা নিয়ে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে ফিল্মফেয়ার। অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিনে বাংলানিউজের শুভেচ্ছা হিসেবে পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি ভাষান্তর করে প্রকাশ করা হলো।

কৌন বনেগা ক্রোড়পতির সপ্তম আসর চলছে এবার যে নতুন কিছু বিষয় যুক্ত হয়েছে তাকে কি আপনার পরামর্শ ছিলো?

এ বিষয়ে সনি মিডিয়া ভালো বলতে পারবে। আমি এ বিষয়ে তাদের কোন ধারণাই দিইনি।

আপনার কি মনে হয় বিখ্যাত এই টিভি শোটি আপনার ভক্তদের সাথে সত্যিকারের যোগাযোগের করিয়ে দিয়েছে?

হ্যাঁ, আমি আপনার সাথে একমত।amitab

এমন কোন রিয়েল লাইফ হিরোর সাথে কি আপনার দেখা হয়েছে যার সকল বাঁধার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার ইচ্ছায় আপনি ইমপ্রেসড হয়েছেন?

হ্যাঁ। এই টিভি শোটির হট সিটে এমন অনেকেই এসেছেন যাদের বাস্তব জীবনের গল্পগুলো অনেক বেশি স্মরণীয়। বিহার থেকে এক ব্যক্তি এসেছিলেন মাত্র ২০০০০ রুপি জেতার জন্য, যা দিয়ে তিনি ছাদ সংস্কার আর রিয়েলিটি শোতে আসার জন্য বন্ধুর টেলিফোন খরচ পরিশোধ করবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি পাঁচ কোটি টাকা জিতে নিয়েছিলেন। পারিবারিক নির্যাতনের স্বীকার এক মহিলা এসেছিলেন এবং প্রমাণ করে গেছেন মেয়েরা যেকোন কিছুর সাথে মানিয়ে চলতে পারে। এসিড আক্রান্ত ব্যক্তিও স্বাভাবিক জীবন যাপনে শক্ত মনোবল নিয়ে চলাফেরার এমন বহু গল্প জানা হয়েছে অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে।  

ভারত কা বীর পুত্র-মহারানা প্রতাপ টিভি শোতে কণ্ঠ দিয়েছেন আপনি। ঐতিহাসিক এই বিপ্লবীর ক্যারিশমা কী ছিল?

মাতৃভুমির জন্য তার ভালোবাসা এবং সচেতনতা, অত্যাচারীদের হাত থেকে বাঁচাতে জনগণের জন্য যুদ্ধ করা। এমনকি ভয়ংকর পরিস্থিতিতেও অভিযুক্ত হয়েছেন তখনও সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিলেন। মানুষের গৌরব রক্ষা এবং প্রতিস্থাপন করতে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বিশ্বাস করতেন।

১৯৭৭ সালে আপনি সত্যজিৎ রায়ের শতরঞ্জ কি খিলাড়ী তেও কণ্ঠ দিয়েছিলেন। কিংবদন্তি এই চলচ্চিত্রকারের কথা কেমন মনে পড়ছে?

খুবই ছোট্ট একটা অংশের ভয়েসওভার দিয়েছিলাম। কিন্তু খুবই সম্মানের ছিল সেটি। বিভিন্ন উপলক্ষে, কাজের জায়গায়, সামাজিক অনুষ্ঠানে এবং তার কলকাতার বাসায় অনেকবার একত্রিত হয়েছিলাম আমরা। জয়া (অমিতাভের স্ত্রী) সত্যজিতের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মহানগর’এ অভিনয় করেছিল। অবিশ্বাস্য মেধার মানুষ ছিলেন তিনি। প্রাকৃতিক সিনেমা, গল্প কী বলতে চাইছে, সিদ্ধান্তের সুনির্দিষ্টতা, মানব প্রকৃতি বোঝার অসাধারণ ক্ষমতা এবং সেটিকে ভিজুয়াল রুপ দেয়া। কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ডে সেতার সঙ্গীত চালানো (চারুলতা চলচ্চিত্রে) এমন নানান কথা মনে পড়ছে তাকে নিয়ে। অনন্য মেধার এক মানুষ ছিলেন।

গ্রেট গেটসবে’র প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন আপনি। যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ায় এ নিয়ে বিস্ময় যেখানে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও বা টবি ম্যাগিউর নেই, কিন্তু আপনি ছিলেন?

Amitabএই ঘটনা এবং সংবাদ প্রকাশ নিয়ে আমি এমন করে ভাবছি না। গ্রেট লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও বা টবি ম্যাগিউরের সাথে আমাকে তুলনা করা অসম্ভব ব্যাপার। তারা অনেক বড় মাপের এবং বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় তারকা। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ওই প্রিমিয়ারে প্রচুর পরিমাণে প্রবাসী ভারতীয় ছিলেন। তাদের আগমন আমার কাছে ভালো লেগেছে। আসলে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা কালে দেশের সামান্য কিছু পেলেও  তাদের জন্য বিশাল উপলক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে এমনটিই ঘটেছে। এবং তারা বেশ আনন্দিত ছিল। আমার মনে হয় পশ্চিমারা তাদের তারকাদের নিয়ে আবেগ প্রকাশে কিছুটা রক্ষণশীল।

লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর সাথে এবারের কান উৎসবের উদ্বোধনীতে ছিলেন। তার সম্পর্কে বলুন?

লিওনার্দো খুবই মহৎ একজন অভিনেতা। এমন একজন যিনি আট বছর বয়স থেকেই ক্যামেরার সামনে আছেন। কিন্তু সহকর্মীদের সাথে সচেতন, ডেডিকেটেড এবং সহযোগীতাপূর্ণ। সারাবিশ্বে পর্দার পরিচিত লিওনার্দো মানুষ হিসেবে সবার ভালোবাসার। একদমই নিরহংকার এবং সাধারণ অন্য সবার মত। তার সাথে কাটানো সময়গুলো খুবই সুন্দর।

বলেছিলেন কান উৎসবে একজন বিদেশী হিসেবে সম্মানিত হওয়া একজন ভারতীয় হিসেবে আমার জন্য গর্বের মুহুর্ত। কথাটা একটু পরিস্কার করবেন?

কান হচ্ছে চলচ্চিত্রের নন্দন কানন। যেটি শাষণ করে পশ্চিম। সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি সংস্কৃতি এবং এলাকা থেকে আসা একজনকে এমন সম্মান দেয়া অনেক বিস্ময়ের, আনন্দের। চলচ্চিত্রের ব্যক্তিদের প্রতি তাদের মনোযোগ এবং তুলনাহীন। লিওনার্দোর সাথে কান উৎসবের উদ্বোধন করা ছিল আমার জন্য মর্যাদাকর মুহুর্ত। এটা শুধু কানে আমাদের উপস্থিতির স্বীকৃতিই নয়, বলিউড ইন্ডাস্ট্রির শতবর্ষ পূর্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনও। এছাড়া আমার মাতৃভাষায় আমি যেটুকু কথা বলেছি সেটিও ভালো ভাবে অভিনন্দিত করেছে তারা। সংগঠকদের একজন ফ্রেঞ্চ থিয়েরি আমাকে উদ্বোধনী শেষে বলছিলেন , “আপনার ভাষায় মিউজিক শোনাটা ছিল আনন্দের।” একজন ফ্রেঞ্চ লোকের মুখে এমন কথা শুনার অনুভূতি গর্বের।

জয়া বচ্চনের সাথে করা ‘জানজির’ এ বছর মুক্তির চার দশক পূর্ণ হল। চলচ্চিত্রটির কোন স্মৃতি এখনো মনে পড়ে?

amitabএটি ছিল প্রকাশ মেহরার সাথে করা আমার প্রথম চলচ্চিত্র। আর এটিই সেই চলচ্চিত্র যখন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম জয়ার সাথে যে, যদি চলচ্চিত্রটি সফল হয় তবে আমরা বিয়ে করব। এই চলচ্চিত্রটি সেই পূর্ণতা দিয়েছে।

প্রয়াত অভিনেতা প্রাণ এবং আপনার পর্দায় ভালো একটা রসায়ন তৈরি হয়েছিল। পর্দার বাইরে তার কিছু মজার দিক শেয়ার করুণ?

প্রাণ সাহেব এমন একজন, যাকে সহকর্মী হিসেবে যে কোন আর্টিস্ট প্রত্যাশা করেন। তার পেশাদারিত্ব, দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কিংবা শট ব্রেকের ফাঁকে বুদ্বিদীপ্ত কথামালা আজীবন মনে থাকবে।

প্রকাশ ঝা’র সত্যাগ্রহ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। অন্য নির্মাতাদের চেয়ে প্রকাশ ঝা কেমন ব্যতিক্রম?

প্রকাশজি একজন দায়িত্বশীল নির্মাতা। সামাজিক বিষয় অথবা দেশকে নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা বিষয় নিয়ে তিনি খুবই অগ্রবর্তী। সুপরিকল্পক এবং অতিসতর্ক প্রযোজক-পরিচালকও বটে। সময় এবং বিষয়ের প্রতি দারুণ আস্থাশীল। অন্য নির্মাতাদের চেয়ে তাকে আলাদা করে বলার কোন প্রশ্ন হয় না।

সত্যাগ্রহতে আপনার চরিত্র নাকি আন্না হাজারে থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেয়া। নতুন কোন বিষয়টি আপনাকে আবিস্কারে সহায়তা করেছে?

কোথা হতে অনুপ্রেরণা নেয়া হয়েছে সেটা প্রকাশ ঝা ভালো বলতে পারবেন। তিনিই ভালো জানেন। ইতিহাস, ঘটনা বা উপলক্ষের বিস্তারিত তিনি যা চেয়েছেন তা-ই চলচ্চিত্রে আনতে চেয়েছেন। আমি মনে করি প্রতিটি সিনেমা শেষেই এর আর্টিস্টরা তার অংশগ্রহণ করা অংশের ওপর বেশ জ্ঞান অর্জন করে থাকেন। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি।

মহাত্মা গান্ধী সবসময় যে গানটি গাইতেন সেই গানটি সত্যাগ্রহ তে আপনি গেয়েছেন। বর্তমান সময়ে মহাত্মা গান্ধীর এমন গানের কারণ কী?

শুধু আমি না, চলচ্চিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গানটিতে অংশ নিয়েছে চলচ্চিত্রের সকল আর্টিস্ট। বর্তমান সময়ে গানটির প্রয়োজন আছে কি না এ নিয়ে আমি বলার লোক না। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর আবেগ এবং চলচ্চিত্রটিতে আমার করা চরিত্রের খাতিরে বলতে পারি একটি শান্তিপ্রিয় সমাজ ও জাতি আমরা চাই।

জয়াজির হোমটাউন ভোপাল (মধ্য প্রদেশের রাজধানী) আপনার কাছে অনেকটা ঘরের মত। ঐতিহাসিক এই শহরটির সবচেয়ে সুন্দর কী মনে হয়?

ভোপালের মানুষেরা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ, দয়াশীল, বোধশক্তিসম্পন্ন এবং অতিথিপরায়ণ। এখানে আগন্তুকদের প্রতি তারা যে শিষ্টাচার দেখায় তা প্রীতিপূর্ণ।amitab

বিগত চার দশক ধরে অনবরত কাজ করে চলেছেন। ছুটির দিন আপনাকে নিশ্চয় অস্থির করে তোলে?

হ্যাঁ। কারণ আমি কখনোই জানি না আমি কী করতে যাচ্ছি।

আপনার ভক্তরা যখন আপনাকে দেখার জন্য একেকটা রোববারের পর রোববার অপেক্ষা করে থাকে, এই বিষয়টা নিয়ে ভাবার সময় কেমন অনুভূতি কাজ করে?

সারপ্রাইজ! তাদের আবেগকে গভীরভাবে অনুভব করি। আমার সাধারণ অভিনয়ে তাদের এমন ভালোবাসা জীবনভর এগিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। আমি সত্যিই অভিভূত যে আমি এমন ভালোবাসা পাওয়া মানুষ!

ফিল্মফেয়ার ফটোশুটে শাফকাত আমানত আলীর আঁখো কে সাগর গানটি বেশ উপভোগ করতে দেখা গিয়েছে আপনাকে। যেটি ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছিল?

শাফকাত আমানত আলীর গনগনে কণ্ঠ আছে সুন্দর গজলের জন্য। শুধু এটিই নয়, আরো বেশ কিছু গান বিশ্ব সঙ্গীতকে অলংকৃত করেছে। আমার আইপডেও আছে।

আপনাকে বলা হয় প্রয়াত গজল শিল্পী মেহেদী হাসানের একনিষ্ঠ প্রসংশাকারী। তার সাথে কাটানো কোন সময়ের স্মৃতি?

তার কথা প্রথম যখন শুনি, তখন এত সহজ ছিল না এখনকার মত। খারাপ সাউন্ড কোয়ালিটির ক্যাসেট বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা সংগ্রহ করতাম। খুব আগ্রহ সহকারে তারপর সেটি শুনতাম। আমার খুবই প্রিয় ছিল ‘রঞ্জিস হ্যায় সাদি দিল’ গজলটি। তারপর একদিন ভারতে এসে এখনকার নভোটেল হোটেলে গাইলেন। জাভেদ আখতারের বাসায় তার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে আলাপ হয়েছিল। যখন তিনি গাইতেন ‘রাঞ্জিস’ আহ, মনে হচ্ছে সময় এখনো দাঁড়িয়ে আছে!!

ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতি পশ্চিমাদের আগ্রহ এখন কোন পর্যায়ে?

পশ্চিমে ভারতীয় সিনমা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা ছিল একসময়। কিন্তু সেই দৃষ্টিভঙ্গি এখন পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদের সিনেমাগুলো মূল ধারার। কিন্তু তারা তাদের নিজস্ব জায়গা থেকে দেখে। তারা গান-নাচকে ঠিক সিনেমার সাথে মানিয়ে বুঝতে পারে না। যাই হোক, কয়েক বছর ধরে সেটি বদলাচ্ছে। এখন আমাদেরকে তারা গ্রহণ করে। আমি খুশি যে আমরা যা করতাম তা আমরা বদলাইনি। আমরা আমাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছি।

বর্তমান প্রজন্ম নিয়ে কী বলবেন?

amitabপ্রযুক্তির উন্নতির সাথে সবকিছুই এখন দ্রুত ঘটছে। এক সেকেন্ডে কম্পিউটার স্ক্রীন না চালু হলে আমরা মেশিনটাই বদলে ফেলি। এটা একটা অস্থির প্রজন্ম। সবকিছুই চাই তাড়াতাড়ি ঘটুক। না পেলে বাতিলই করে দিই। আমরা অবিশ্বাস্য একটা জাতি, যাদের ৮০০’র মত চ্যানেল।

এখন প্রতিবছর কয়েকটি সিনেমা-ই ১০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করছে...?

আমাদের সময়ে জয়ন্তি চালু ছিল। একটা সিনেমা ২৫ থেকে ১০০ সপ্তাহ চলত। একটা ছবি কত বেশি আয় করছে এটা ছিল তা বোঝানোর মাধ্যম। হতে পারে কত টাকা আয় করলাম তখন এ নিয়ে ভাবতাম না। কিন্তু ট্রফি বা উপলক্ষকে উদযাপন করতাম চলচ্চিত্রের সফলতা হিসেবে। আমরা কখনোই ব্যবসার দিক দেখিনি। আগের দিনে করা হত জয়ন্তি। এখন রুপি। দুটো মেলালে হয়তো দেখা যাবে তখনকার অনেক সিনেমা ও ৩০০-৩৫০কোটি রুপি আয় করেছে। ‘১০০ কোটি ক্লাব’ তাই নতুন কিছু নয়।

আরাধ্যার সাথে কাটানো মুহুর্ত কতটা আকর্ষণীয়, আপনার সাথে কী করতে সে উপভোগ করে?

আরাধ্যার উপস্থিতিই আকর্ষণের জন্য যথেষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৩
এসএ/জিআর/আরআইএস


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু

ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮১, +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০ ৯৬১ ২১২ ৩১৩১ নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৬, +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২৩৪৬
ইমেইল: [email protected] সম্পাদক ইমেইল: [email protected]
Marketing Department: +880 961 212 3131 Extension: 3039 E-mail: [email protected]

কপিরাইট © 2006-2025 banglanews24.com | একটি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান