
চট্টগ্রাম: বন্দর চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে নিজের একক সিদ্ধান্তে একটি বিকল জাহাজকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় জেটিতে ভেড়ানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বরখাস্ত করা হলেও বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়। এমভি গ্লাডিস নামে বিদেশি জাহাজটি গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ভেড়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর সেটিকে জেটিতে আনার সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। পরদিন পুনরায় বহির্নোঙ্গরে নিয়ে যাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব সৈয়দ ফরহাদউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, একক সিদ্ধান্তে বিকল একটি বিদেশি জাহাজ বন্দর জেটিতে নিয়ে আসার সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। এজন্য বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটি জেটিতে টেনে আনার শর্ত হিসেবে শক্তিশালী টাগবোটসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসব শর্ত না মেনে গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমভি গ্লাডিস জাহাজটি বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সময় দুর্ঘটনায় পড়ে।
সূত্র বলছে, বন্দর চ্যানেলের পাশে দুর্ঘটনা হওয়ায় বড় ধরণের বিপদ থেকে বেঁচে যায় বন্দর। কারণ জাহাজটি মূল চ্যানেলে দুর্ঘটনায় পড়লে বন্দর অচল হয়ে পড়ত।
অভিযোগ রয়েছে, এরকম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বন্দরের সিনিয়র পাইলটরা জাহাজটি টেনে আনতে রাজি না থাকলেও বন্দরের হারবার মাস্টার মোটা অংকের টাকা নিয়ে বন্দরকে ঝুঁকিতে ফেলে জাহাজটি জেটিতে ভেড়ানোর ব্যবস্থা করেন।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পথে মিয়ানমারের উপকূলে গত ৩০ জুলাই জাহাজটি প্রথম দুর্ঘটনায় পড়ে বিকল হয়। এরপর শক্তিশালী টাগবোট ছাড়া এটিকে টেনে বন্দরে ভেড়ানোর অনুমতি দেয়নি মিয়ানমার নৌ-বাহিনী।
শক্তিশালী টাগবোট আনার পর এটিকে মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে অনুমতি দেওয়া হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর জাহাজটি বন্দরের বহিনোর্ঙরে ভিড়ে।
বাংলাদেশ সময়:১৬২০ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৩
এমইউ/টিসি