
সংসদ ভবন থেকে: বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশের যানজট নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণাংশের যানজট নিরসন ও দেশের ৩০টি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে যাত্রবাড়ী থেকে গুলিস্তান হয়ে পলাশী অভিমুখী বেসরকারি বিনিয়োগে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। যা খুব শিগগিরই যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত মৌখিক উত্তরদান পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম নূর আফরোজ আলীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১০ সালের ২২ জুন এ ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করি। সড়ক অবকাঠামোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপি) হিসেবে এ প্রকল্পের ৯৯ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কয়েকটি লুপের কাজ রয়েছে শেষ পর্যায়ে। এর বাইরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে বনানী-মিরপুর ফ্লাইওভার ও কুড়িল ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। যা মহানগরীর উত্তরাংশের যানজট নিরসনে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে ১ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সড়ক, ৪ হাজার ৫০৭টি সেতু এবং ১৩ হাজার ৭৫১টি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মহাজোট ক্ষমতা গ্রহণের পর সড়ক জনপথ অধিদফতরের আওতায় রাজধানীসহ সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২ হাজার ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে বড় আকারের ৩টি ফ্লাইওভার, ১২টি ব্রিজ/সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেতু বিভাগের আওতাধীন বৃহৎ প্রকল্প, মাওয়া-জাজিরা অবস্থানে বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। এরমধ্যে জাজিরা অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ ব্যয় ১ হাজার ২৬২ কোটি ৯৬ লাখ, মাওয়া অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে প্রাক্কালিত ব্যয় ২৫৯ কোটি ৫৬ লাখ, সার্ভিস এরিয়া নির্মাণ ব্যয় ২৮৫ কোটি ৭৩ লাখ, মূল সেতু নির্মাণে প্রাক্কালিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ১৭২কোটি ১৭ লাখ টাকা।
এছাড়া নদী শাসন কাজে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৩৬২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এছাড়াও জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন, নির্মাণ তদারকি পরামর্শক (সিএসসি) ও অন্য খাতে ব্যয় হবে ৪ হাজার ১৬৪ কোটি ১০ লাখ টাকা।
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে ৫টি প্যাকেজের মধ্যে ৩টি প্যাকজের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্যে জাজিরা অ্যাপ্রোচ সড়ক, মাওয়া অ্যাপ্রোচ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২ নির্মাণের কাজ তদারকির জন্য স্পেশাল ওয়ার্ক অর্গানাইজেশন (এসডব্লিউও) (ওয়েস্ট) বাংলাদেশ আর্মি ইন অ্যাসোসিয়েশন উইথ বিআরটিসি, বুয়েটকে কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি) দায়িত্ব প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনের কাজ রয়েছে শেষ পর্যায়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৩
আরএম/এসএম/এমইউএম/এএ/আরকে