
ঢাকা: বিশিষ্ট সাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাইয়ের লেখা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
তবে এ বিষয়ে শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ব্লগার মারুফ রসুল জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন শাহবাগের গণআন্দোলনের রসায়ন বুঝলে তিনি (হাসনাত আবদুল হাই) এভাবে লিখতে পারতেন না।
মারুফ রসুল বলেন, “একজন লেখক হিসেবে তার লেখার স্বাধীনতা রয়েছে। তাই, আমরা এ নিয়ে কোনো ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছি না। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। আর আমরা চাই, এ নিয়ে লেখকরাই হাসনাত আবদুল হাইয়ের লেখার প্রতিবাদ করুক।”
‘টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি’ শিরোনামে একটি দৈনিকে তার লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে। লেখাটি নিয়ে পাঠকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। লেখাটিকে রুচিহীনতার চূড়ান্ত বলে উল্লেখ করেছেন তারা। শেষপর্যন্ত ওই পত্রিকার সম্পাদক লেখাটি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়, লেখাটির জন্য সম্পাদক ক্ষমাও প্রার্থনা করেছেন। লেখাটি নিয়ে নিউজপোর্টাল, অনলাইন পত্রিকা ও ব্লগে বিভিন্ন লেখায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন পাঠক-লেখকরা। লেখাটি এতই রুচিহীন যে, কেউ কেউ হাসনাত আবদুল হাইকে ‘নব্য রসময়গুপ্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
বহু পাঠক লেখাটি পড়তে গিয়ে আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আবদুল হাই সম্পর্কে লিখেছেন, ‘আমি কল্পনা করিতে পারি নাই এ রকম একটি লেখা আবদুল হাই লিখবেন আর আমাকে সেই লেখাটি জীবদ্দশায় পড়তে হবে।’
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী লেখাটি নিয়ে বলেছেন, “এই লেখার মাধ্যমে হাসনাত আবদুল হাই নারী জাতিকে চরমভাবে অসম্মান করেছেন। তার লেখাটি হেফাজতে ইসলামের কাছাকাছি।”
তিনি এ লেখার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “একজন সাহিত্যিকের কাছ থেকে মানুষ অনেক কিছু শেখে। তিনি যে ধরনের লেখা লিখেছেন, তাতে দেশও চরমভাবে অপমাণিত হয়েছে।”
অন্যদিকে, গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতাকারীদের কাছ থেকে লেখক বাহবা কুড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৩
আইএইচ/সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর