কামারুজ্জামানের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৩

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম সাফাই সাক্ষীর জেরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

বুধবার কামারুজ্জামানের পক্ষে প্রথম সাফাই সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বেনুপাড়া গ্রামের মোঃ আরশেদ আলী। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা শুরু করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী। জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

সাক্ষী আরশেদ আলী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সোহাগপুর, বেনুপাড়া, কাকরকান্দি ইত্যাদি গ্রামগুলোতে গণহত্যার ঘটনা সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়ে দাবি করেন, ‘‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এ গণহত্যা ঘটিয়েছে। কামারুজ্জামান নন, এ ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছেন এলাকার পাকিস্তানি বাহিনীর দালাল ফসি চেয়ারম্যান, নজির মাস্টার, কাদির ডাক্তার, নসা গং।’’  

সাক্ষ্যে ও রাষ্ট্রপক্ষের জেরার জবাবে এই সাক্ষী দাবি করেন, তিনি কামারুজ্জামানের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিতে এসেছেন কামারুজ্জামানের বড়ভাই কফিল উদ্দিনের কথায়। গত শনিবার(২ মার্চ) কফিল উদ্দিনই তাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন।

আরশেদের দাবি, তিনি কামারুজ্জামান বা তার পরিবারের কাউকে চিনতেন না। এক বছর আগে কামারুজ্জামানের বড় ভাই কফিল উদ্দিন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে এই মামলায় কামারুজ্জামানের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে বলেন। সেদিনই তিনি কফিল উদ্দিনকে প্রথম দেখেন ও চেনেন।   
 
গণহত্যার ঘটনায় তার পিতা একাব্বার আলী শহীদ হন বলে জানিয়ে সাক্ষী আরশেদ বলেন, ‘‘আমার বর্তমান বয়স ৬১ বছর। আমি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। ১৯৭১ সালে আমি কৃষিকাজ করতাম। ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম।’’  

সাক্ষী আরশেদ বলেন, ‘‘আমাদের এলাকা তথা সোহাগপুর, বেনুপাড়া, কাকরকান্দি গ্রামগুলোতে ১৯৭১ সালের ১০ শ্রাবণ রোজ মঙ্গলবার পাকিস্তানি বাহিনীর লোকেরা গণহত্যা চালিয়েছিল। আমার পিতা ওই গণহত্যায় শাহাদাত বরণ করেছেন।’’

‘‘আমি ঘটনার দিন আমার বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে আমার নিজের জমিতে হালচাষ করছিলাম। ঘটনার দিন সকাল অনুমান ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার দিকে সোহাগপুর গ্রামের দিক থেকে গুলির শব্দ শুনতে পাই। তখন আস্তে আস্তে গুলির শব্দ বাড়তে থাকলো। একপর্যায়ে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার দিকে আমাদের বাড়িতে পাকিস্তানি সেনারা এসে আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করে।’’

‘‘আমার বাবাকে গুলি করতে দেখে আমি বাড়ির পশ্চিম-দক্ষিণ দিকে সিংহিমাড়ি খালের মধ্যে আশ্রয় নেই। সোহাগপুর-বেনুপাড়া-কাকরকান্দি গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ ওই খালে আশ্রয় গ্রহণ করে। সন্ধ্যার আগে খবর পাই, পাকিস্তানি সেনারা চলে গেছে। তখন আমি বাড়িতে আসি। বাড়ির আশেপাশে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ছড়ানো অনেক লাশ দেখতে পাই। যার মধ্যে আমার বাবার লাশও ছিল।’’

সাফাই সাক্ষী বলেন, ‘‘ওই দিন দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে আমি সন্ধ্যায় আরো চার-পাঁচ জন আমার পিতার লাশসহ মোট ৭টি লাশ সমাহিত করি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাশগুলো দাফনের পর আমরা অনেক লোক নারী-পুরুষ কাকরকান্দি উত্তর গ্রামে আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেই।’’

গণহত্যার ঘটনার কারণ ও দায়ীদের সম্পর্কে সাক্ষীর দাবি, ‘‘আমরা ওই এলাকায় সেটেলার হিসাবে বসতি স্থাপন করেছিলাম। ওইখানে ভারত থেকে আগত রিফুজিরা এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ গিয়ে সরকারি সম্পত্তি বন্দোবস্ত নিয়ে বসবাস করতাম। তখন ফসি চেয়ারম্যান, নজির মাস্টার, কাদির ডাক্তার, নসা গংদের সঙ্গে আমাদের পূর্ব দ্বন্দ্বের কারণে তারা আমাদের বসতি থেকে উচ্ছেদ করতে চাইতেন। তারা সবাই পাকিস্তানি বাহিনীর দালাল ছিলেন। তারাই পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রভাবিত করে এ ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। তারা আমাদেরকে মুক্তিবাহিনী হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে চিহ্নিত করেছিলেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সহযোগিতা করতাম।’’

আরশেদ বলেন, ‘‘আমাদের সোহাগপুর-বেনুপাড়া-কাকরকান্দি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে অনেক বইপত্র লেখালেখি হয়েছে। আমাদের এলাকায় বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যাদের নাম আমার মনে আছে তারা হলেন জিয়াউল মাস্টার, আনসার মাস্টার, মির্জা মাস্টার, শাহাবুদ্দিন চেয়ারম্যান প্রমুখ। আমি আমাদের এলাকার মুক্তিযুদ্ধের ওপর আবদুর রহমান তালুকদারের লেখা বই পড়েছি। এ বইয়ে আমার পিতার নামসহ বর্ণিত ঘটনায় শাহাদাত বরণকারী শহীদদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ বইয়ে আমাদের এলাকার সমস্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদদের নামের তালিকা উল্লেখ আছে।’’

সাক্ষী বইটি (প্রদর্শনী-এ, ভলিউম ৭এ, পৃষ্ঠা-১-৪৫) পরে আদালতে প্রদর্শণ করেন।
 
সাক্ষী আরও বলেন, ‘‘সোহাগপুরের ঘটনার ওপর জনৈক সাংবাদিক মামুনুর রশীদ একটি বই লিখেছেন, যার নাম ‘সোহাগপুর বিধবা কন্যারা’। আমি ওই বইটিও পড়েছি। এখানে বিধবাদের সাক্ষাৎকার রয়েছে।’’

সাক্ষী ‘সোহাগপুরের বিধবা কন্যারা - ১৯৭১’ (প্রদর্শনী- বি, ভল-৩, পৃষ্ঠা ৪১-৭৩) নামের বইটিও প্রদর্শণ করেন।

আরশেদ আরও বলেন, ‘‘দেশ স্বাধীনের পরে শেখ সাহেব প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে ১০০০ হাজার টাকার একটি চেক দিয়েছিলেন। এরপর ২০০৭ সালের আগে পর্যন্ত কোনো সরকারই আর কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করেনি। ২০০৭ সালে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির পর সেনাবাহিনীর লোকজন বিধবাদের জন্য প্রতি মাসে ভাতার ব্যবস্থা করেন এবং বিধবাপল্লীতে একটি অফিস ঘর করে দেন। করফুলি বেওয়া, হাফিজা বেওয়াদের ঘর থেকে ৫০ গজ দক্ষিণে ওই অফিস ঘরটি অবস্থিত। ওই অফিস ঘরের আশেপাশেই বিধবাদের বাড়ি-ঘর।’’

সাক্ষী দাবি করেন, ‘‘আমি আজ কামারুজ্জামানের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিতে এসেছি। তবে আদালতের কোনো সমন পাইনি। এক বছর আগে কামারুজ্জামান সাহেবের বড়ভাই কফিল উদ্দিন আমাকে বলেছিলেন, এই মামলায় কামারুজ্জামান সাহেবের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে হবে। কফিল উদ্দিন ধানের ব্যবসা করেন। গত শনিবার(২ মার্চ) কামারুজ্জামান সাহেবের ভাই কফিল উদ্দিন আমাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন।’’

‘‘কামারুজ্জামান সাহেবের বাড়ি আমার বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ কিমি পূর্ব দিকে অবস্থিত শেরপুর থানায়। আমি কামারুজ্জামান সাহেবের পরিবারের কোনো লোকজনকে চিনি না। আমি এখন পর্যন্ত কামারুজ্জামান সাহেবকে দেখি নাই, আমি ওনাকে চিনি না। আজ থেকে এক বছর আগে আজগর মেম্বারের সঙ্গে কামারুজ্জামানের বড় ভাই কফিল উদ্দিন আমার বাড়িতে আসেন এবং নিজেকে কামারুজ্জামানের ভাই বলে পরিচয় দেন। তখনই তাকে প্রথম দেখলাম। আজগর মেম্বার আমার ইউনিয়নের সদস্য নন, তিনি নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের সদস্য। তবে আগে আমরা একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলাম।’’

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সাজেশান (মত) দেন, আজগর মেম্বার কফিল উদ্দিনের সঙ্গে একই দল অর্থাৎ জামায়াত করেন এবং সাক্ষী আরশেদও জামায়াতের সমর্থক। তাই তিনি কামারুজ্জামানের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিতে এসেছেন। সাক্ষী এসব অস্বীকার করেন।

জেরার জবাবে এই সাক্ষী কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান মো. জালাল উদ্দিন সম্পর্কে বলেন, ‘‘জালাল শহীদ পরিবারের সন্তান। জালালরা চার ভাই যথাক্রমে জালাল, হাবী, আলাল, মফিজ। আমাদের এলাকা থেকে আহমদনগর ৩৫-৪০ কিমি পশ্চিম দিকে। ১৯৭১ সালে বিধবাপল্লী থেকে আহমদনগর হেটে যেতে হতো। একটি সরু রাস্তা ছিল। বিধবাপল্লী থেকে শেরপুরের দূরত্ব ছিল ৪০-৪৫ কিমি ছিল। গাড়িতে যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা ছিল না।’’

কামারুজ্জামানের পক্ষে ৫ জন সাক্ষী সাফাই সাক্ষ্য দিতে পারবেন বলে নির্ধারণ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

অন্যদিকে গত বছরের ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আব্দুর রাজ্জাক খানসহ রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

তাদের মধ্যে ১৫ জন ঘটনার সাক্ষী হচ্ছেন, ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি হামিদুল হক, শেরপুরে কামারুজ্জামানের স্থাপন করা আলবদর ক্যাম্প ও নির্যাতন কেন্দ্রের দারোয়ান মনোয়ার হোসেন খান মোহন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সী বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল মান্নান, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ গোলাম মোস্তফা হোসেন তালুকদারের ছোট ভাই মোশাররফ হোসেন তালুকদার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামানের বড় ভাই ডা. মো. হাসানুজ্জামান, লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের পুত্র জিয়াউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান মো. জালাল উদ্দিন, শেরপুর জেলার ‘বিধবাপল্লী’ খ্যাত সোহাগপুর গ্রামের নির্যাতিত (ভিকটিম) তিন নারী সাক্ষী (ক্যামেরা ট্রায়াল), মুজিবুর রহমান খান পান্নু এবং দবির হোসেন ভূঁইয়া। আর জব্দ তালিকার প্রথম সাক্ষী হলেন বাংলা একাডেমীর সহকারী গ্রন্থাগারিক এজাব উদ্দিন মিয়া ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমেনা খাতুন।

আসামিপক্ষ তাদের জেরা সম্পন্ন করেছেন।

গত বছরের ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত ধরনের ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়।

ট্রাইব্যুনাল কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বরসহ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কামারুজ্জামান। শেরপুর ডাকবাংলোয় বসে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সন্দেহভাজনসহ নিরীহ বাঙালিদের ধরে আনার নির্দেশ, হত্যা, নির্যাতন চালাতেন তিনি।

এছাড়া শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে তার পরিকল্পনা ও পরামর্শে ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই ১২০ জন পুরুষকে হত্যা করা হয় এবং ওই গ্রামের প্রায় ১৭০ জন মহিলাকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়। সে ঘটনার পর থেকে সোহাগপুর গ্রাম এখন ‘বিধবাপল্লী’নামে পরিচিত। এ কারণে সোহাগপুরের বিধবাপল্লীর জন্যও দায়ী কামারুজ্জামান।

সব মিলিয়ে গণহত্যা, গণহত্যা সংঘটনে ষড়যন্ত্র, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও হত্যা, ব্যাপক নির্যাতনযজ্ঞ, দেশত্যাগে বাধ্য করা, নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্মগত ও রাজনৈতিক কারণে ক্রমাগত নির্যাতনের সুপিরিয়র হিসেবে সব অপরাধের একক ও যৌথ দায় কামারুজ্জামানের ওপর বর্তায় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।

২ জুলাই কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৮১ পৃষ্ঠার ওপেনিং স্টেটমেন্ট (সূচনা বক্তব্য) উত্থাপন করেন প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম মুক্তা।

সূচনা বক্তব্যে প্রসিকিউটররা কামারুজ্জামানকে ‘প্রমাণিত যুদ্ধাপরাধী’ বলে উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালকে বলেন, তিনিসহ মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাসেম আলী, আশরাফ হোসেন, মোঃ শামসুল হক, মোঃ সাদত হোসাইন, আশরাফুজ্জামান খান, চৌধুরী মঈনউদ্দিন ও আব্দুস সালাম ছিলেন আলবদর বাহিনীকে পরিচালনা করতেন।

প্রসঙ্গত, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ৮৪ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-১।
এরপর ১৬ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কামারুজ্জামানের মামলাটি প্রথম ট্রাইব্যুনাল থেকে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ১৬ মে আসামিপক্ষ এবং ২০ মে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৩
জেপি/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected]


সম্পাদক : জুয়েল মাজহার

ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮১, +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০ ৯৬১ ২১২ ৩১৩১ নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৬, +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২৩৪৬
ইমেইল: [email protected] সম্পাদক ইমেইল: [email protected]
Marketing Department: +880 961 212 3131 Extension: 3039 E-mail: [email protected]

কপিরাইট © 2006-2024 banglanews24.com | একটি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান