
পারুলের বিয়ে হয়ে যায়। মাতব্বর পারুলরে ঘরে তোলে। এখানে শুরু হয় পারুলের আরেক জীবন। যে জীবন তার আকাঙ্ক্ষিত ছিল না। শোনা যাক পারুলের মুখ থেকে-
বিয়ের দিন যখন মাতব্বর মায়েরে সালাম করতে গেল। তখনই মাতব্বরের দিকে চোখ যায়, মাতব্বরকে দেখে আমি হু হু করে কেঁদে উঠি। আর বাড়ির সবাই ভাবলো বিয়ে হয়ে গেছে বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছি তাই বুঝি কাঁদছি। আর গ্রামে মেয়েদের বিয়ে হলে এমনিতেই কান্নাকাটির ঢল পড়ে। মানুষ মরলেও মানুষ এমনে কান্দে না, যেমন মেয়ে বিয়ের সময় কান্দে। কিন্তু আমার কান্দোনটা ছিল ভিন্ন, সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাতব্বরকে দেখেই আমার মনে হয়েছে মাতব্বরের আসলে বউয়ের দরকার নেই। দরকার ঘর করা, ভাত রান্না করে খাওয়ানোর একজন মানুষের। মাতব্বর আমারে লইয়া বাড়িত যায়। বাড়ি ভরা মানুষ। ভাবলাম বড় ঘরের বউ হইয়া যাইতাছি তাই বুঝি এতো মানুষ দাওয়াত দিছে। তাছাড়া মাতব্বরের বিয়া বলতে কথা, কিন্তু খটকা লাগলো এতো মানুষ কিন্তু বড় বড় ডেকসি কোথায়। এতো মানুষ খাওয়াইলেতো চুলাভরা আঙ্গার থাকতো। ইত্যাদি নানান চিন্তা যখন আমার মাথায় ঘুরপাক খাইতে থাকলো। তখনই বাড়ি ভরা মানুষের সোরগোল বাইড়া গেল। নতুন বউ ইচ্ছে করলেও উঠানে যাইতে পারছিলাম না। মাতব্বর তড়িঘড়ি করে পায়জামা পাঞ্জাবি খুলে লুঙ্গি আর এক গামছা কাঁধে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। আমি যে একটা মানুষ হেইডা মনে হয় মাতব্বর ভুলে গেছে। ভালোমন্দ কিছুই বলে গেলো না। কখন আইবে তাও জানি না। বাড়ি ভরা মানুষ কিন্তু একটা মানুষও নতুন বউয়ের কাছে এসে বসলো না। কথা বলার মানুষও নাই। দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। এমন সময় একজন মেয়ে মানুষ মাঝ বয়সী হবে এসে কাপড় দিয়ে গেলো। আর বললো শাড়ি খুলে কাপড় পড়ে হাত মুখ ধুয়ে নিতে। তারপর ডাকলে খাবার দিয়ে যাবে। ছোট বেলায় যখন আফিয়া বুবুর বিয়ে হলো। ঐ দূরের মোড়লগঞ্জে বড় কেরা নৌকায় করে বুবুর সাথে বুবুর শ্বশুর বাড়িত গেছিলাম। যেই না বুবু কেরা নৌকা থেকে নামলো, বুবুরে কোলে করে উঠানে নিয়া গেল। তারপর কতো সুন্দর কইরা যে পিড়ি সাজাইছিলো, দুইটা পিড়ি, বুবুর পিড়িটা একটু নিচা আর দুলার পিড়িটা উচা। তারপর নানি শাশুড়ি, দাদি শাশুড়ি, দাদা শ্বশুর, নানা শ্বশুর, বুবুর নিজের শাশুড়ি-শ্বশুর, চাচা শ্বশুর, চাচি শাশুড়ি না হয় ১০/১৫ জন এ শরবত ঐ শরবত দিয়া বুবুরে বরণ করলো। বুবুর পিড়ির একটা খুড়া খাটো ছিল। যেই বুবু ঐ পিড়ির উপর উঠতে যাইবে ওমনি আমার নজর পড়লো। সাথে সাথে বুবুরে নিষেধ করলাম। আর পিড়িটাও বদলায়া দিতে বললাম। হেইদিন যদি বুবু ঔ এক ঠ্যাং খাটো পিড়ির মধ্যে উঠতো তাইলে বুবুর কোমরটাই না ভাইঙ্গা যাইতো। হেইদিন আল্লার রহমতে আমার নজরটা যে কেমনে গেলো পিড়ির উপর।
আর ঐ বাড়ির সবাই আমার প্রশংসা করতে ছিল। মাইয়াডা চালাক আছে, মাইয়াডার বুদ্ধি আছে। হেইদিন বুবু কথা দিছিলো হের দেওরের লাইগ্যা আমারে নিবে কিন্তু না বুবু তার কথা রাখেনি। আজ যদি বুবু তার দেওরের লাইগ্যা আমারে নিতো তাইলে আমাগো কত্তো মজাই না হতো। কিন্তু বুবুরতো কোন খবরই নাই। এতোগুলা বছর একটা দিনও বুবু খবর নেয় নাই। অথচ আফিয়া বুবুর সাথে আগুন মাইসা ধান টুকাইতে এই চক হেই চক কতো চকে যাইতাম। ইন্দুরের গর্তে দাও কাচি দিয়া কাইটা ধান বাইর কইরা আনতাম। আগুন মাসে একেক জনে কমপক্ষে তিন চার কাঠা কইরা ধান টুকাইতাম। আর হেই ধান দিয়া পিঠা মুড়ি বানাইতো। সারা বছর পিঠামুড়ির ধান যোগাড় করন লাগতো। আর এ কাজে আমি আর আফিয়া বুবুতো একসঙ্গে বছরের পর বছর ধরে ক্ষেতে ক্ষেতে ঘুরছি। মহিজুদ্দিগো ধান ক্ষেতে ঔষোর কেটে তো আফিয়া বুবু আর আমি প্রত্যেকবছর ভালোই ধান পাইতাম। উত্তর চকে ধান টুকাইতাম নাড়া টুকাইতাম। আহা হেইদিনগুলা কই গেলো। বুবু মনে হয় ভুল্লাই গেছে।
এমন ভাবনার ফাকে পারুলের চোখে জল আসে। মোটা কালা এক বেডি আসে। হেরে পরিচয় করাইয়া দেয় হের নাম সলাতুন, পারুলের ননদ লাগে। জামাই মইরা গেছে তাই ভাইয়ের সংসারে পড়ে আছে। বহুত দিনের স্বপ্ন ছিল ভাইয়েরে বিয়ে দেয়ার। সলাতুনের বড় বড় দাঁত, দাঁতগুলো পান খাইতে খাইতে এমন কালা হইছে যে দেখলে ভয় লাগে। এক হলো কালো তার উপর বড় বড় কালো দাঁত আর মাড়ি লাল। কেমন যে লাগে দেখলে ঘেন্না এসে যায়। সারাক্ষণ পান চিবাইতেই থাকে। আর পানের পিক ফালানের বাছ বিচার নাই। মুখে রস আসলো তো ওক করে ফালাই দিলো। এই মানুষটা পারুলের ননদ ভাবা যায়! পারুলের এবার বেশি বেশি কান্দোন আইতাছে। ননদ সলাতুন খুব ঝগড়াটে মানুষ। আর তা দেখলেই বুঝা যায়। ইহকালে এর সাথে কেউ ঝগড়া কইরা পারছে বলে মনে হয় না। সলাতুন পারুলকে বলে-
শোন ভাবি, এই বাড়িতে লোকজনের অভাব নাই কিন্তু কথা কহনের লোক পাইবা না। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর সারাদিন এইডা ওইডা কইরাই ব্যস্ত থাকতে চাইছি। খুব কথা কহনের মন চাইলে লালুগো বাড়িত যাই। হেগো বাড়িতে অনেক মানুষ সুতা ভরে, নাটাই আছে তো। তাই মাইয়াছিলার অভাব নাই। তবে তোমার কোনখানে যাওনের দরকার নাই। একটা ছাওয়ালপোওয়াল হওনের আগ পর্যন্ত বাড়ির চারসীমানার বাইরে যাওন যাইবে না আর আমার দাদা খুব রাগী মানুষ। একবার কারো উপর রাগলে হের সর্বনাশ কইরা ছাড়ে। তাই তোমার কোন কিছু লাগলে আমারে কইবা। আমিই সব ব্যবস্থা কইরা দিমু।
আচ্ছা আপনের ভাই কই গেছে জানেন। যাওনের সময়তো কিছুই কইয়া গেলো না। নতুন বউ ঘরে রাইখ্যা...
আহালো এইডা তুই কি কইলিগো। বিয়া হইছে দুইচার দিন না যাইতেই ভাইরে ঘরে বন্দী করনের চিন্তা করন কিন্তু ভালো লক্ষণ না। আর কোনদিনও ভাইরে কিন্তু জিগাইওনা ভাই কই যায় কি করে এসবের কোন কৈফিয়ত নিতে যাইয়ো না। তাইলে তোমার তক্তা ছুটাইয়া ফেলাইবে।
তক্তা কি বুবু?
আরে তক্তা চিনে না, খুব রাগী মানুষ রাগলে হাতের সামনে যা পায় তা দিয়াই কিন্তু মাইর শুরু করে।
কি কন?
হ, হাছাই কইতাছি। সাফিনের মায়ওতো মরছে। মরছে না ভালো হইছে। কম তো মাইর খায় নাই। মাইর খাইতে খাইতে বেশোধ হইয়া গেছে, তারপরও শুয়োরের মতো মারতো। -এই বলে সলাতুনের চোখে পানি টলমল করে।
বুবু, সাফিন কেডা।
কেন, জানো না.
না,
ওইতো তোনগো বড় পোলা। মানে ভাইয়ের আগের সংসারের পোলা।
কই থাকে। বিয়াতে তো আইলো না।
ঢাকা থাকে। বড় ক্লাশ পাশ দিয়া শুনছি ভালা চাকরি করে। কিন্তু ওর মায় যেই মরলো এরপর থেকে বাড়িত আইয়েও না পোলাগুলান হের বাপের খোঁজও নেয় না।
পারুলের ভিতরটা মোচড় দিয়া ওঠে। আগের সংসারের বউয়েরে মাতব্বর মাইরা ফেলাইছে। ওর কপালে না জানি কি আছে। এমন চিন্তায় পারুল কিছুটা উদ্বিগ্ন।
ওঠেন ওঠেন শাড়ি খুলে কাপড় পড়ে নেন। হাতমুখ ধুয়ে খাইয়ে শুয়ে পড়েন।
কিন্তু আপনের দাদা কিছু বলবে নাতো?
দাদা হাহাহা দাদা চারতাল্লুক গেছে বিচার করতে, বিরাট আসর, দশগ্রামের মাতব্বররা বিচার করবে, বহুত বড় বৈঠক, আজ ফিরে কিনা তার কোন ঠিক আছে নাকি। আর দাদা এমনই।
পারুল ভাবে এ কেমন কথা বিয়া কইরা নতুন বউ ঘরে রাইখ্যা জামাই কিনা বিচার আচার লইয়া ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে কি কানা বুড়ির কথাই ঠিক? পারুল কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত। ভাবতে ভাবতে যেই খাওয়ার ঘরে ঢুকে এমনি করে মাতব্বরের গলার আওয়াজ।
বউদিগো ঐ বুঝি তোমার বর আইলো। নতুন বউয়ের টানে বিচার আচারেও বুঝি মন বসলো না। কি যাদু করেছোগো বৌদি।
যা কি যে বলে। পারুল আরো লম্বা করে ঘোমটা টানে।
মাতব্বর এসে পারুলের কাছে বসে- দেগো ভাত দে, বহুত খিদা লাগছে।
কিগো দাদা তুমি কি তোমার শশুর বাড়িত খাও নাই?
একদম ইয়ারকি মারবি না কইয়া দিলাম। তাড়াতাড়ি খাওন দে খাইয়া শুইয়া পড়বো।
পারুল হাসে। আর মনে মনে ভাবে মানুষটা বুড়া হইলোও রসবোধ আছে। মাতব্বর খায় আর পারুল গায়ে বাতাস করে।
মাতব্বরও বেজায় খুশি। বউয়ের পতির প্রতি বহুত দরদ। খাওয়া শেষে পারুলরে বলে, শোন তুমি খাইয়া আওনের সময় সরিষা তেলের বোতলটা নিয়া আইসো, আমি ঘরে গেলাম।
পারুল হের ননদরে জিগায় কিগো আপনের ভাইয়ে সরিষার তেলের বোতল নিয়া যাইতে কইলো কেন?
ননদ সফাতুন হাসে- যাওগো যাও আজ ভাইজানের মাথা পুরাই খারাপ, তোমার আজ খবরই আছে।
যা কি যে কয়!
পারুল সরিষার তেলের বোতল নিয়ে স্বামীর ঘরে ঢুকে। মাতব্বর তখন কেবল তার গায়ের পাঞ্জাবিটা খুলে গেঞ্জিটা খুলবে। এমন সময় পারুলের নজর পড়ে মাতব্বরের শরীরের দিকে। এ কি এতো মানুষ না, একটা কাকলাস। হাঁপানির রোগী। বুকের হাড্ডিগুলো একেক করে সব গুনন যায়। গায়ের চামড়া ঢিল হতে হতে এতোটাই ঢিলা হয়ে গেছে মনে হয় শরীর থেকে আলাদা হয়ে যাবে। তা দেখে পারুলের কান্দন আসে পারুল বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে। তার পায়ে জোর কমে আসে, এক কদম দুই কদম করে তার এ ঘর থেকে মাতব্বরের ঘরে পৌঁছাতে যেন হাজার বছর লেগে যাবে। অথচ পারুল মাতব্বরের এতো কাছেই যে মাতব্বর হাত বাড়ালেই পারুলকে ছুঁতে পায়। খুব কষ্ট করে পারুল মাতব্বরের খাটে উঠে বসে। ভয় আর শঙ্কার ভিতর পারুলের সারা গা কাঁপতে থাকে। গলা শুকিয়ে আসে। ঠোঁট কাঁপতাছে কিন্তু কিছুই বলার সাহস ওর নাই। মাতব্বর মাথার টুপিটা খুলে পারুলের ঘোমটার খুব কাছে আসে। ঘোমটা খুলে তার খসখসা হাত দিয়ে পারুলের চুলগুলো টেনে বের করে। পারুলের ঘাড় ঠোঁট ও হাতের বাহুতে খসখসা হাত পড়ে। ভয়ে পারুল চিৎকার দিতে চায় কিন্তু পারে না।পারুলের পুরো শরীর অবশ হয়ে পড়ে। যেন জমে গেছে। সে যে মানুষ তা তার মনে হচ্ছে না। মনে হয় একটা কাঠের পুতুল।
মাতব্বর পারুলকে বলে-
শোন তুই ভয় পাইস না। আমি বুড়া হইলো তোমার স্বামী। স্বামীরে ভয় পাওনের কিছু নাই। আমার কপাল ভালো তোমার মতো গায়ে গতরে মাংস আছে এমন একটা বউ পাইছি কিন্তু তোমার কপাল মন্দ যে তুমি আমার মতো একটা বুড়া মানুষরে স্বামী হিসেবে পাইছো। আমার উপর গোস্সা কইরো না। আর গোস্সা কইরা লাভও নাই। আমার বয়স এখন সত্তুর পার হইয়া পঁচাত্তর। আমার সমাইন্যা মানুষজন বেশিরভাগই মইরা গেছে। আল্লায় বাঁচাইয়া রাখছে আবার তোমারে বিয়াও করছি । কি করমু কপালে থাকলেতো আর ফালান যায় না। আমার এখন আর সেই বয়স নাই। তোমারে জামাইর আদর দিয়া সন্তুষ্ট করনের মরদ আমার আগেই শেষ হইয়া গেছে। এ জিনিসটা ছাড়া আমার সব আছে। চাকর বাকর ধন দৌলত শান শৌকত কোন কিছুর কমতি নাই। তাই যদি এ জিনিসটা ছাড়া তোমার চলে, তাইলে তোমার কপাল রাজরানীর কপাল। আমি আর কইদিনই বা বাঁচবো বলো। আমি মরার আগে তোমার নামে সম্পত্তি লেখে দিয়া যামু, যাতে আমার পোলারা এসে তোমারে বাইর কইরা না দেয়। তবে এরও আগে আমার জানতে হবে তুমি সত্যি সত্যি আমার বউ হওনের যোগ্যতা রাখ। আমি যতদিন বাঁচি ততদিন বাড়ির কামলা কোমলাগো সামনে যাওন যাইবে না। কোন পর পুরুষকে মুখ দেখান যাইবে না। সব সময় ভিতর বাড়িত থাকবা। কোন প্রয়োজনেই ছাড়া বাড়িত যাইবা না। আর আমি যদি মইরা যাই। তারপর তোমার যা খুশি করার কইরো। কৈফিয়ত দেওনের মানুষ তখন থাকবে না। আমি খুব স্পষ্ট করেই এসব কথা কইতাছি। আর এক কথা দুইবার বলার অভ্যাস আমার নাই। আমি বাড়িত না থাকলে পাড়ার বহু মাইয়াছিলা তোমার কাছে আসবে। এটা সেটা বলবে। মন খারাপ করবা না। আমি বুড়া এটা তুমি জাইনা শুইনাই বিয়া করছো। আমি জোর করে কিছু করি নাই। এইবার যাও সরিষা তেলের শিশিটা খুলে আমার সারা শরীরে তেল মালিশ করো। শরীরে তেল মালিশ না করলে আমার ঘুম আসে না।
পারুল মাতব্বররে তেল মালিশ করা শুরু করে আর কাঁদতে থাকে। একসময় পারুলের চোখের পানির ফোটা মাতব্বরের পিঠে পড়ে, মাতব্বর এবার ফিরে পারুলকে বলে কান্দাকাটি করে লাভ নাই। যদি পছন্দ না হয় কালই বাপের বাড়ি চলে যাও। আমার পক্ষে তোমাকে এর বেশি কিছু বলার নাই।
মাতব্বর ঘুমিয়ে পড়ে। মিনিট দশেক বা বিশেক পড় শুরু হয় মাতব্বরের নাক ডাকানি। আর পারুল কাঁদতে কাঁদতে সারা রাত পার করে দেয়। বাসর ঘরের কথা ভেবে। কত জনের বাসর ঘরের গল্প শুনেছে। কিন্তু... পারুলের বাসর ঘরের কোন গল্প সে কাউকে বলতে পারবে না। এ মুখ নিয়ে সে কারো কাছে যেতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৪৮ ঘণ্টা, ২৪ ডিসেম্বর ২০১২
এমজেএফ/ [email protected]