
ঢাকা: সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত মোস্তফা মার্ট এখন বাংলাদেশে। বাংলাদেশ থেকে যারা সিঙ্গাপুরে গিয়ে পছন্দের এই মার্কেটে শপিং করেছেন তাদের জন্য এটি সুখবর বটেই। রুচিশীল ক্রেতাদের হাতের নাগালে এসেছে মোস্তফা মার্ট। আর তা স্থান পেয়েছে দেশের সবচেয়ে আধুনিক, বৃহৎ ও সেরা শপিং মল বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সে। এখানেই খোলা হয়েছে মোস্তফা মার্টের বিশাল আউটলেট। যার আনুষ্ঠানিক যাত্র শুরু হবে বুধবার।
প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার ধরনের পণ্য নিয়ে শো-রুম সাজিয়েছে মোস্তফা মার্ট।
দুপুর ১২টায় ক্রেতাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকবেন মোস্তফা মার্টের কর্মকর্তা ও বিক্রয় কর্মীরা।
প্রাথমিকভাবে মোস্তফা মার্ট বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে ২০০ কোটি টাকা। বিশ্বের নামি-দামি ব্র্যান্ডের পণ্যের বিপুল আয়োজন থাকবে। এ জন্য বসুন্ধরা সিটির বেজমেন্টে তিন হাজার ৫০০ স্কয়ার ফিটের জায়গা নেওয়া হয়েছে। এতে থাকবে প্রায় পাঁচ হাজার আইটেমের পণ্য। বাংলাদেশের ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে ক্রমেই বাড়ানো হবে পণ্যের তালিকা। এসব কথা জানান মোস্তফা মার্টের মহাব্যবস্থাপক অ্যালান লু।
তিনি বলেন, এ শপে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের পোশাক, জুতা, প্রসাধনী, খেলনা, লাগেজ, নারী-পুরুষের আন্ডার গার্মেন্ট, হোম টেক্সটাইল, ইলেকট্রনিক পণ্য ছাড়াও থাকবে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য।
এখানে পাওয়া যাবে হংকংয়ের বসোনি, গিওর ডেনো, হ্যাঙ্গ টেন, সিঙ্গাপুরের ক্রোকোডাইল, যুক্তরাষ্ট্রের লি কপার, প্যারিসের পেয়ারি কার্ডেনের শার্ট, ডেনমার্কের জুতার ইকো, ব্রাজিলের ইপনিমা, রাইডার, আমেরিকার ফ্লোরশাইম, আমেরিকার খেলনা মেহেল, ফিশার প্রাইস, কোরিয়ার সোলারন ব্র্যান্ডের হোম টেক্সটাইল ছাড়াও বিশ্বের শতাধিক ব্র্যান্ডের পণ্য।
লু জানান, এ উপমহাদেশের শৌখিন ক্রেতাদের জন্য মোস্তফা মার্ট স্বর্গ প্রাসাদ। সিঙ্গাপুরের `লিটল ইন্ডিয়া (ছোট ভারত)` নামে পরিচিত কেম্পবেল লেইনে ১৯৭১ সালে তৈরি পোশাক পণ্য নিয়ে ভারতের মো. মোস্তফা তার যাত্রা শুরু করেন। ক্রমেই প্রতিষ্ঠানটি ভারত, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের ক্রেতাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে বাড়তে থাকে এর প্রসার। পরে সেরাঙ্গন রোডে ১৯৭৩ সালে ভাড়া নেওয়া হয় ৯০০ স্কয়ার ফিটের আরেকটি দোকান। এ সময় নতুন পণ্য হিসেবে উঠানো হয় ইলেকট্রনিক পণ্য। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫ সালে আরো সম্প্রসারণ করে মোস্তফা সেন্টারের জন্য নেওয়া হয় ৪০ হাজার স্কয়ার ফিটের জায়গা। বর্তমানের এক লাখ ৫০ হাজার স্কয়ার ফিটের জায়গাও তাদের ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পারছে না। এ ছাড়া সেবা খাত হিসেবে মোস্তফায় আরো নতুন সংযোজন করা হয় ফরেন এক্সচেঞ্জ, ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেল, হোটেলসহ অন্যান্য সেবা ও সুবিধা।
বাংলাদেশ সময় ১০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১২
এমএমকে; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর