রংপুর চিড়িয়াখানা-তাজহাট জমিদার বাড়ি: চাই উন্নয়নের ছোঁয়া

সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | আপডেট: ১৫:৪৬, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১২

রংপুর: রংপুরে সরকারি ও বেসরকারিভাবে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। সরকারি যে বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে তাতেও রয়েছে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাব।

রংপুর অঞ্চলের মানুষ বিনোদনের জন্য রংপুর চিড়িয়াখানা, তাজহাট জমিদার বাড়ি আর ভিন্নজগতেই বেড়াতে যান।

আসুন জেনে নেওয়া যাক রংপুরের চিড়িয়াখানা ও তাজহাট জমিদার বাড়ি-যাদুঘর সম্পর্কে কিছু তথ্য-

রংপুর চিড়িয়াখানা: রংপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্র পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে প্রায় ২২ একর জমির উপর ১৯৯১ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে উঠেছে রংপুর চিড়িয়াখানা। আনুষ্ঠানিকভাবে এটির উদ্বোধন করা হয় ১৯৯১ সালের ১ জুন।

এ চিড়িয়াখানায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, ভাল্লুক, বানর, বেবুন, ওয়াটারবাক, হরিণ, খরগোস, সজারু, হায়েনা, স্বাম্ভার হরিণ, জলহস্তি, ঘড়িয়াল, অজগর, চন্দনা পাখি, টিয়া,  মদনটেক, বিভিন্ন প্রজাতির বক, চিল, খুরা, পানকৌড়ি, শকুন, ডেসোমি, ক্রেন,  বাজপাখি,  কেশোয়ারীসহ বেশকিছু জীবজন্তু রয়েছে। এখানে পেয়ারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর গাছ রয়েছে। এখানকার দীর্ঘ ও সরু খালটিতে সাদা বক আর পানকৌড়ির কলরবে অবতারণা হয় এক অপূর্ব দৃশ্যের।  

গাছের শীতল ছায়ায় ও মনোরম পরিবেশে বিভিন্ন প্রজাতির জীবজন্তু দেখতে দেখতে চোখ জুড়িয়ে যায় দর্শনার্থীদের।

সমস্যা: চিড়িয়াখানায় দিনদিন দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়লেও এখানে জিরাফ ও জেব্রাসহ অনেক প্রাণীই নেই। এছাড়া দর্শনার্থীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থাও। রোদ-বৃষ্টিতে অসহনীয় কষ্ট করতে হয় তাদের। পশু পাখির জন্য যেসব খাঁচা রয়েছে তাও জরাজীর্ণ। অনেক সময়ই বখাটে, মাদকসেবীদের আড্ডাস্থল আর প্রেমিক যুগলের অনৈতিক কাজের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয় এ চিড়িয়াখানা। এখানে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

শিশুদের নিয়ে এখানে বেড়াতে এলে দর্শনার্থীদের প্রায়ই পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতে।

রংপুর চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসা দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আলাল, জাহিদুল, শহরের সাতমাথা এলাকার আফজাল, মামুন, চাকরিজীবী আসাদুল, বিথি, কল্লোলসহ অনেকেই বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিনেও বিনোদনের মাধ্যম এই চিড়িয়াখানার কোনো উন্নয়ন হয়নি। দিনদুপুরে এখানে চলে মাদক আর অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এজন্য পরিবার নিয়ে এখানে বেড়াতে এসে বেকায়দায় পড়তে হয় অনেককেই।
তারা আরও জানান, হিংস্র পশুর খাঁচাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তাই ছেলে-মেয়ে নিয়ে এখানে বেড়াতে আসা বিপদজনকও। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর পশু-পাখি আগের চেয়ে কমে গেছে। বিনোদনের কোনো জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়েই বেড়াতে আসতে হচ্ছে এখানে।

এখানে পশু-পাখির সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখানে জেব্রা ও জিরাফ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি ও যাদুঘর: রংপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্র জাহাজ কোম্পানির মোড় থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার পূর্বে প্রাচীন শহর মাহিগঞ্জে তাজহাট জমিদার বাড়ির অবস্থান। শতবর্ষের পুরনো এই রাজবাড়ীটি প্রাচীন অথবা মধ্য যুগের কীর্তি বহন না করলেও এর দৃষ্টি নন্দন স্থাপত্য শৈলী যে কাউকে মোহিত করে। তাই একটু সময় পেলেই শহরবাসী সপরিবারে ছুটে যান ছায়া ঘেরা সুশীতল পরিবেশের জমিদার বাড়িটির সৌন্দর্য দর্শনে। স্থানীয়রা ছাড়াও প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিভিন্ন বয়সী মানুষের পদচারনায় মুখর হয়ে ওঠে জমিদার বাড়ির প্রাঙ্গণ।

জমিদার বাড়ির প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই পিচঢালা রাস্তার ২ পাশে সারিবদ্ধ নারিকেল গাছ। মৃদু বাতাস, সবুজে ঘেরা সুন্দর মনোরম পরিবেশ প্রকৃতি প্রেমীদের খুব সহজেই কাছে টানে। কিছুদূর যেতেই এ বাড়ির মূল ভবন। ভবনের সামনে বাহারি গাছ-গাছালি ঘেরা ৪টি পুকুরের দৃশ্য হৃদয়ে এনে দেয় অনাবিল প্রশান্তি।

২০০৫ সালের ২০ মার্চ তাজহাট রাজবাড়ীটিকে যাদুঘরে রূপান্তরিত করা হলে আরও পাল্টে যায় এর দৃশ্যপট।

তাজহাট জমিদার বাড়ির ঐতিহাসিক তথ্যে জানা যায়, তাজহাট জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা মান্নালাল রায় ছিলেন একজন রত্ন ব্যবসায়ী। তিনি ১৭০৭ সালে ভারতের পাটনা এলাকা থেকে মাহিগঞ্জে আসেন। সে সময় মাহিগঞ্জ ছিল একটি ব্যবসা সমৃদ্ধ শহর।

জানা যায়, মান্নালাল রংপুরের মাহিগঞ্জে এসেছিলেন হীরা, জহরত ও স্বর্ণ ব্যবসার জন্য। প্রথমে তিনি নানা ধরনের নামী দামী হীরা, মানিক ও জহরত খচিত তাজ বা পাগড়ির ব্যবসা করেছিলেন। এখানে তার লোকজন রাজমুকুট অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের মাথার তাজ তৈরি করে ভারতের বিভিন্ন রাজা বাদশা ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করতেন। সে সময় তাজ বিক্রির জন্য এখানে হাট বসতো যা পরবর্তীকালে প্রসিদ্ধি লাভ করে। এভাবে মান্নালাল এক সময় প্রচুর অর্থের মালিক হন। তাজের ব্যবসা করে এলাকাটি প্রসিদ্ধ হয়েছিল বলে এক সময় ওই এলাকার নামকরণ করা হয় তাজহাট। মান্নালাল বসবাস করার জন্য তাজহাটে একটি ভবন নির্মাণ করেন। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে এই ভবনটি ধ্বংস হয়ে যায়। এতে তিনি আহত হয়ে পরবর্তীকালে মারা যান। এরপর তার দত্তক পুত্র গোপাল লাল রায় বাহাদুর (১৮৮৭-১৯৫৫) জমিদারের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে বর্তমান জমিদার বাড়িটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তাজহাট জমিদার বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯১৭ সালে। এ বংশের জমিদারেরা রংপুরের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেন।

রংপুরের নতুন শহর থেকে মাহিগঞ্জ পর্যন্ত যে সড়কটি রয়েছে তার নাম জি.এল.রায় রোড অর্থাৎ গোবিন্দ লাল রায় রোড। প্রায় ৩ কিলোমিটার বিশিষ্ট এই রাস্তা একদিন একরাতে নির্মাণ করা হয়েছিল বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে।

অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তখনকার সেই অবকাঠামোটি এখনো পর্যন্ত সগৌরবে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে রংপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে করেছে সমৃদ্ধ।

১৯৫২ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর জমিদার বাড়ির ৫৫ একর জমিসহ মূল ভবনটি চলে যায় কৃষি বিভাগের অধিনে। এখানে গড়ে ওঠে সরকারি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ জমিদার বাড়ির আসবাবপত্রসহ অনেক মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে যায়। ১৯৮৪ সালের ১৮ মার্চ মূল ভবনসহ কিছু এলাকা হাইকোর্ট ডিভিশনকে দেওয়া হয়। সে সময় পূর্ণাঙ্গ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ চালু হয় এখানে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও রাজধানী কেন্দ্রীকতার কারণে রংপুর থেকে হাইকোর্ট বেঞ্চটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৫ সালে তাজহাট জমিদার বাড়িটির দায়িত্ব সংরক্ষিত প্রাচীন কীর্তি হিসেবে ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি আইনের অধীনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে ন্যস্ত করা হয়। তখন থেকেই প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বাড়িটির দেখভাল করে আসছে। ২০০২ সালে তৎকালীন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী রংপুর এসে জমিদার বাড়িটি পরিদর্শন করে এটিকে যাদুঘরে রূপান্তরিত করার নির্দেশ দেন। তার ফলশ্রুতিতে ২০০৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জমিদার বাড়িটি যাদুঘর হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং জমিদার বাড়িটিসহ ১৬ একর ৬ শতাংশ জমি যাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জমিদার বাড়ির যাদুঘরে যা রয়েছে: প্রাসাদ প্রাঙ্গনের সামনে রয়েছে মার্বেল পাথরে নির্মিত সুদৃশ্য পানির ফোয়ারা। নিচতলা থেকে সরাসরি দ্বিতীয় তলায় ওঠার জন্য রয়েছে প্রসারিত সিঁড়ি। সিঁড়ির রেলিং সজ্জিত করা হয়েছে অলংকৃত বাতি দানি দিয়ে যা সুন্দর মসৃণ সাদা ও ছাই রংয়ের পাথর দ্বারা মোড়ানো। পূর্বমুখী এ দ্বিতল ভবনের সামনে ৭৬.২০ মিটার দীর্ঘ। ইটালি থেকে আমদানি করা শ্বেতপাথরে তৈরি ১৫.২৪ মিটার চওড়া একটি সিঁড়ি উপর তলার বারান্দা পর্যন্ত উঠে গেছে। ছাদের মাঝখানে অর্ধ গোলাকার একটি গম্বুজ রয়েছে, যা এক সারি সরু করিনথিয়ান স্তম্ভের অষ্টকৌণিক থামের উপর দণ্ডায়মান। এই ভবনে কক্ষের সংখ্যা ২৮টি।
নিচতলায় ৪টি বড় কক্ষ এবং ১১ জোড়া কপাট বিশিষ্ট দরজা রয়েছে। প্রধান কক্ষটির আয়তন ১৪৫/১২৩ ফুট। প্রাসাদের উত্তর ও দক্ষিণ কোণে ২টি গোলাকার পিলার রয়েছে।
 
এ বাড়ির দোতলায় ওঠার বিশাল শ্বেত পাথরের সিঁড়িসহ ৪টি সিঁড়ি রয়েছে। দোতলায় ৬টি কক্ষে সজ্জিত রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক প্রাচীন কীর্তির নিদর্শন।

এর মধ্য উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আকাশ থেকে পড়া উল্কা পিণ্ড, আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপ পুঞ্জের শঙ্খ, একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীর অলঙ্কৃত পাথর খণ্ড, কালো পাথরের নবগ্রহ প্যানেল, একাদশ শতাব্দীর হর-গৌরী, শিব-পার্বতীর মূর্তি। কালোপাথরের লহ্মী নারায়ণ, ত্রানকর্তা বিষ্ণু ইত্যাদি। এছাড়াও যাদুঘরে রয়েছে ১৩৩১ সালের ৯ অগ্রহায়ণ প্রকাশিত রঙ্গপুর দর্পন (সম্পাদক শ্রী চন্দ্র কমল লাহেড়ী সম্পাদিত পত্রিকা)। শ্রী রাম চন্দ্রের মহাভারত পর্ব, ১৯শ’ শতকের বরাহ পুরাণ, কালিকা পুরাণ, আদ্য শ্রাদ্ধ পুঁতি। কালো মৃৎ পাত্রের টুকরো। খ্রিস্ট পূর্ব ৩য় শতাব্দীর হতে ১৬শ’ শতাব্দী পর্যন্ত মাটির বিভিন্ন সামগ্রী। পোড়ামাটির অলঙ্কার, দণ্ডায়মান নারী মূর্তি, মাটির দোয়াত-কলম, শ্বেত পাথরের হাতির মাথা, কালো পাথরের গণেশ, মার্কেন্দ্র পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত, চৈতন্য চরিতা মৃতা, হরিভত্তি ইত্যাদি প্রাচীন গ্রন্থ।

এছাড়াও রয়েছে ৮ম ও ৯ম শতাব্দীর সাঁওতালদের ব্যবহৃত তীর-ধনুক। মুসলিম নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে ১৭শ’ শতকের পোড়ামাটির ফলকে আরবি হরফে লেখা লিপিকা (লিখেছেন হযরত সৈয়দ ইয়াছিন সাহেব)। একই সময়ের হযরত মহি উদ্দিনের নাম ফলক, হযরত ইসমাইল গাজীর নাম ফলক, হাম্মাম খানার ফার্সী শিলালিপি, মিঠাপুকুর তেকানী মসজিদের ফার্সি শিলালিপি। বাদশা নাসির উদ্দিনের নিজ হাতে লেখা কোরআন শরিফ। কবি শেখ সাদির স্বহস্তে লিখিত ফার্সি কবিতা, সম্রাট আওরঙ্গজেবের স্বহস্তে লেখা লিপি। ৪ ইঞ্চি বর্গাকৃতি (স্কয়ার) কোরআন শরীফ। গাছের বাকলে লেখা সংস্কৃত হস্তলিপি, বেগম রোকেয়ার স্বহস্তে লেখা চিঠি, তুলট কাগজে সংস্কৃতি হস্তলিপি ইত্যাদি।

মূল ভবনের ১৩টি শোকেজে রয়েছে এসব পুরাকীর্তি। এছাড়াও ২টি কক্ষে ৭টি করে মোট ১৪টি প্রাচীন মূর্তি দর্শনার্থীদের মাঝে আলাদা  আকর্ষণ সৃষ্টি করে।

মূল ভবনের নিচতলায় রয়েছে যাদুঘরের দাপ্তরিক কক্ষ (অফিস রুম)। এখানে ১ জন জিম্মাদার, একজন সহকারী জিম্মাদার, ১৪/১৫ জন স্টাফ ও ১০ জন আনসার সর্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে, এ যাদুঘরকে ঘিরে ৮ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা ফাইল বন্দি হয়ে রয়েছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২ কক্ষ বিশিষ্ট একটি রেস্ট হাউসসহ আলাদা অফিস রুম নির্মাণ হলে এর সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে।

স্থানীয় লোকজন, দর্শনার্থী ও সংশ্লিষ্টদের অভিমত, দ্রুত যাদুঘরটি  উন্নত ও যুগোপযোগী করে রংপুর বিভাগের অন্যতম আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা দরকার। এতে একদিকে যেমন তা পর্যটন ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করবে, তেমনি সরকার আয় করতে পারবে প্রচুর রাজস্ব।  

প্রবেশ মূল্য: যাদুঘরের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। প্রতিদিন এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কালের পথ পরিক্রমায় জমিদার বংশের কেউই আর এখন নেই, রয়েছে তাদের অমর কীর্তি তাজহাট জমিদারবাড়ি। প্রতিদিন অসংখ্য ভ্রমণ ও সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ এখানে এসে তাদের হৃদয় ও নয়ন জুড়িয়ে নেন।

পথ নির্দেশনা: ঢাকা থেকে ট্রেন ও বাসে রংপুর আসা যায়। ঢাকার মহাখালী, গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে বাসে রংপুর আসতে ভাড়া পড়বে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা। হানিফ, এসআর, আগমনী ও টিআরসহ বিভিন্ন কোম্পানির বাস সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিদিন চলাচল করে ঢাকা থেকে রংপুর। এছাড়া কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯টায় রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে আর সন্ধ্যা ৭টায় রংপুর পৌঁছে। ট্রেনের টিকিটের ভাড়া ২শ’ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত।

থাকা-খাওয়া: রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র জাহাজ কোম্পানি মোড়ে রয়েছে বেশ কিছু অত্যাধুনিক আবাসিক হোটেল। এছাড়াও পর্যটন মোটেল এবং রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডে গড়ে উঠেছে থ্রি স্টার হোটেল ‘নর্থভিউ’। এখানকার ভাড়া ৯শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এসব হোটেলে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১২
সম্পাদনা: শিমুল সুলতানা, নিউজরুম এডিটর


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু

ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮১, +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০ ৯৬১ ২১২ ৩১৩১ নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৬, +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২৩৪৬
ইমেইল: [email protected] সম্পাদক ইমেইল: [email protected]
Marketing Department: +880 961 212 3131 Extension: 3039 E-mail: [email protected]

কপিরাইট © 2006-2025 banglanews24.com | একটি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান