
ঢাকা: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের খবরে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন সেই সময়ের বিশ্ব নেতারা। তারা গভীর হতাশা ব্যক্ত করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। কেউ কেউ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী গভীরভাবে মর্মাহত হন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন। শেখ মুজিবের অনন্য সাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের জন্য ছিল প্রেরণাদায়ক।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে। আর আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।’
ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম শহীদ। তাই তিনি অমর।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর পেয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত প্রচণ্ডভাবে দুঃখ পেয়েছিলেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন ‘তোমরা আমারই দেয়া ট্যাংক দিয়ে আমার বন্ধুকে হত্যা করেছ! আমি নিজেই নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছি।’
জার্মান চ্যান্সেলর ও নোবেল বিজয়ী রাজনীতিবিদ উইলি ব্রান্ড বলেছিলেন ‘শেখ মুজিব হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যেকোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।’
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য জেমস ল্যামন্ড বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশই শুধু এতিম হয়নি, বিশ্ববাসী একজন মহান সন্তানকে হারিয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তেজি এবং গতিশীল নেতা আগামী ২০ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না।’
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
টিআর/আরআইএস