নারায়ণগঞ্জ: পরিবেশ দূষণ ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগে গত এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন জেলার ৪৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ কোটি ২৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদফতর।
অভিযানে ৩টি দূষণকারী ইটভাটা উচ্ছেদ, ১১টি অবৈধ ইটভাটার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ এবং একটি বেআইনি কারখানা বন্ধ করা হয়।
শনিবার পরিবেশ অধিদফতরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানে নাটোরের ৬টি ইটভাটা থেকে ১৮২ মেট্রিক টন জ্বালানি কাঠ জব্দ করা হয়।
মারাত্মক বায়ু দূষণ ঘটিয়ে ও কৃষি জমি ধ্বংস করে ইটভাটা তৈরি, ঝুঁকিপূর্ণভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ, ডাইং কারখানার ইটিপি বন্ধ রেখে নদী দূষণ, জলাশয় ভরাট করে আবাসন প্রকল্প তৈরি, অসহনীয় শব্দ দূষণ করে নাগরিক জীবন বিপর্যস্ত করা এবং খালে বর্জ্য ফেলার অভিযোগে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লা, খুলনা, নড়াইল, নরসিংদী, নাটোর মুন্সিগঞ্জ, পাবনা ও ঝালকাঠি জেলায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
দণ্ডিত শিল্প-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৫টি ডাইং কারখানা, ২২টি ইটভাটা, ১টি সিমেন্ট কারখানা, ৩টি ওয়াশিং ও গার্মেন্ট কারখানা, ৪টি ডেভেলপার কোম্পানি, ২টি পৌরসভা ও ৭টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
সাভারের কর্নপাড়া খাল, মিরপুরের রূপনগর খাল, তুরাগ ও শীতলক্ষা নদী দূষণ বন্ধে গত এপ্রিল মাসে ৭ বার অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও মুন্সীগঞ্জে দু’টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দখল করা নদীর উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া পাবনার ইছামতি নদী এবং সাভারের কর্নপাড়া খাল দূষণের দায়ে ওই দুই পৌরসভার মেয়র ও প্রকৌশলীকে জরিমানা করা হয়। সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও জবাবদিহীতার আওতায় আনার দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য পৌর মেয়রদের জরিমানা করা হয় বলে বিজ্ঞপিতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১২
তানভীর হোসেন/সম্পাদনা: নাজিম উদি দৌলা সাদি