ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

সিলেট ডিভিশন-২: লোডশেডিং কোথায় কখন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
সিলেট ডিভিশন-২: লোডশেডিং কোথায় কখন

সিলেট: সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে রেশনিং পদ্ধতিতে লোডশেডিং।

সোমবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভায় সিদ্ধান্তের পর রেশনিং পদ্ধতিতে লোডশেডিংয়ে যাচ্ছে দেশ।

সেই সিদ্ধান্তকে সামনে রেখে সিলেটে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর আওতাধীন এলাকাগুলোতে লোড-শেডিংয়ের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিভিশন-২ এর আওতাধীন নগরীর যতরপুর, মিরাবাজার, আগপাড়া ও ঝেরঝেরিপাড়ায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। শাহপরান থানা, মীরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর ও পীরেরচকে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

কুশিঘাট, নয়াবস্তি, টুলটিকর, মিরাপাড়া, মেন্দিবাগ, সাদাটিকর, নোওয়াগাঁও, শাপলাবাগ ও মেন্দিবাগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। উপশহর ব্লক-এ, বি, সি, ডি, তেররতনে দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়াইটা এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা।  

মেন্দিবাগ পয়েন্ট, ডুবড়ীহাওর, নাইওরপুল, ধোপাদিঘীরপাড়, সোবহানীঘাট, বঙ্গবীর এলাকায় দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়ইটা এবং রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা।  কুমারপাড়া, নাইওরপুল, ধোপাদিধীরপাড়, ঝরনারপাড়া এলাকায় দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়ইটা এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা।  

হকার্স মাকেট, কালীঘাট, আমজাদ আলী রোড, মহাজপট্টি, মাছিমপুর, ছড়ারপার এলাকায় বেলা আড়ইটা থেকে বিকেল ৪টা এবং রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। কাজিটুলা, মানিকপীর মাজার, নয়াসড়ক, বারুতখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া, চারাদিঘীরপাড় এলাকায় বেলা আড়ইটা থেকে বিকেল ৪টা এবং রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১০টা। বালুচর, আরামবাগ, আল-ইসলাহ, নতুন বাজার, গোপালটিলা, আলুরতল, টিবি গেট এলাকায় বেলা আড়ইটা থেকে বিকেল ৪টা এবং রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।  

শিবগঞ্জ, টিলাগড়, সবুজবাগ, সেনপাড়া, হাতিমবাগ, লামাপাড়া, রাজপাড়া এলাকায় বিকেল ৪টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা এবং রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা। উপশহর ব্লক-এইচ, আই, জে, ই, এফ, জি, সাদাটিকর এলাকায় বিকেল ৪টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা এবং রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা।  

সোনারপাড়া, মজুমদারপাড়া, পূর্ব মিরাবাজার, দর্জিপাড়া, খারপাড়া এলাকায় বিকেল ৪টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা এবং রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা। রায়নগর, ঝর্নারপাড়, দর্জিবন্দ, বসুন্ধরা, খরাদিপাড়া, দপ্তরীপাড়া, আগপাড়া এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত। চালিবন্দর, কাষ্টঘর, সোবহানীঘাট, বিশ্বরোড, জেলখানা, বঙ্গবীর, পৌরমার্কেট এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রেশনিং পদ্ধতিতে লোডশেডিং হবে।  

সিলেট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক প্রাথমিক একটি রুটিন অনুযায়ী লোডশেডিং করা হবে। উৎপাদনে বেশি ঘাটতি না হলে আমরা চেষ্টা করবো এই রুটিন ফলো করতে। তবে ঘাটতি বেশি হলে এই সময়ের ব্যত্যয় ঘটতে পারে। কিংবা ঘাটতি কম হলে তার চাইতেও কম সময় লোডশেডিং হতে পারে। তবে বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে লোডশেডিং অনেকটা এড়ানো সম্ভব।  

সিলেটে পিডিবি-২ দপ্তরের আওতায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। যদি পিক আওয়ারে প্রত্যেকে গড়ে ১০০ ওয়াট বিদ্যুৎ বন্ধ রাখেন, তাহলে মোট ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ফলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কমে আসবে। এমতাবস্থায় সকল গ্রাহক পিকআওয়ারে অন্তত একটি ফ্যান এবং অপ্রয়োজনীয় বাতি বন্ধ রেখে জাতীয় সংকট মুহূর্তে সহযোগিতা করবেন আশাবাদী তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।