ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ঢাকা-কুমিল্লায় বিদ্যুতের আরো ৫ লাখ প্রিপেইড মিটার

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
ঢাকা-কুমিল্লায় বিদ্যুতের আরো ৫ লাখ প্রিপেইড মিটার

ঢাকা: ঢাকা ও কুমিল্লায় ১৭টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ভৌগলিক এলাকায় নতুন করে পাঁচ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় একটি মাস্টার ইনফরমেশন সেন্টার, ১৭টি ইউটিলিটি ভেন্ডিং স্টেশন, ১৭টি ইউটিলিটি কাস্টমাইজেশন সেন্টার ও ২৮টি হ্যান্ড হেল্ড ইউনিট সংগ্রহ করা হবে বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ।

 

‘পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতায় পাঁচ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন ও মিটার যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ। ৯৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রচলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রথমে প্রাধান্য দেয়া হবে ঢাকার আশপাশ ও কুমিল্লা জেলায়।

বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. নূরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি বিদ্যুৎ বিভাগের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। ঢাকা ও কুমিল্লায় পাঁচ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে বাড়বে গ্রাহকদের সচেতনতা। যেমন আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় ব্যালেন্স চেক করি, একইভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহক সচেতন হবেন।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, নানা কারণে প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবোর্ড) অধীনে ৮০টি পবিস এ অ্যানালগ ও ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স মিটারের মাধ্যমে গ্রাহক প্রান্তের বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ করা হয়। এ কাজে পবিসগুলো মিটার রিডার নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিমাসে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক প্রান্তে অবস্থিত মিটার থেকে মিটার রিডিং সংগ্রহ করে। মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত এ রিডিং শিট সদর দপ্তরে কর্মরত বিলিং সহকারীর মাধ্যমে প্রতি মাসে বিল প্রস্তুত করা হয়। প্রস্তুত করা বিল পবিসের মেসেঞ্জারে গ্রাহকের বাসায় পৌঁছানো হয়। গ্রাহক প্রতিমাসের বিল নিকটস্থ ব্যাংকে জমা দেন। মাঝে মধ্যে নিকটস্থ ব্যাংকের দূরত্ব ও ব্যাংকের অন্য কাজের চাপে নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়া সম্ভব হয় না।  

বর্তমান পদ্ধতিতে গ্রাহক থেকে মিটার রিডিং, বিদ্যুৎ বিল প্রণয়ন ও বিদ্যুৎ বিল গ্রাহক প্রান্তে পৌঁছাতে প্রচুর জনবল নিয়োগ দিতে হয়। এছাড়া মেকানিক্যাল মিটার ব্যবহারের কারণে প্রচুর কারিগরি ও অকারিগরি সিস্টেম লসের সম্মুখীন হতে হয়। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে ৫ শতাংশ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরবর্তীসময়ে নির্ধারিত জরিমানা পরিশোধের মাধ্যমে পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়।  

এ কাজে প্রচুর জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রি-পেমেন্ট মিটারিং ব্যবস্থা চালুকরণের উদ্যোগে সিদ্ধান্ত রয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে এক কোটি গ্রাহককে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের আওতায় আনা হবে। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।