ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় ১.৩৯ টাকা চায় ডেসকো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯
প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় ১.৩৯ টাকা চায় ডেসকো বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ওপর গণশুনানি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় ১ টাকা ৩৯ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ওপর গণশুনানিতে ডেসকো এ প্রস্তাব উত্থাপন করে।  

গণশুনানিতে জুরি বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য রহমান মুর্শেদ, মিজানুর রহমান ও মাহমুদউল হক ভুঁইয়া।

 

ডেসকো জানায়, ২০২০ সালে তাদের বিতরণ রাজস্ব চাহিদা ৮ হাজার ৮৪২ মিলিয়ন টাকা এবং সম্ভাব্য ৫ হাজার ৭৪৯ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রয়ের বিতরণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রতি ইউনিট ১ টাকা ৩৯ পয়সা।  

২০১৭ সালে কমিশন প্রদত্ত আদেশ মোতাবেক ডেসকোর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের বিতরণ ব্যয় ছিল ৭৪ পয়সা। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন মাস সময়কালে বিতরণ ব্যয় হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা। ২০২০ সাল নাগাদ এই বিতরণ ব্যয় দাঁড়াবে ১ টাকা ৩৯ পয়সা। একারণে ডেসকো বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় প্রতি ইউনিট ৭৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৩৯ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে।

বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ডেসকো প্রশাসনিক ও পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি, বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, গ্রাহকসেবার মান উন্নয়নে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

অপরদিকে বিইআরসি কারিগরি কমিটি ডেসকোর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবের মূল্যায়নে প্রতি ইউনিট ৮১ পয়সা করার প্রস্তাবন দেয়। এছাড়া কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ডেসকোর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে অপচয়ের বিষয়টি উল্লেখ করে। মূল্যায়ন কমিটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বিদ্যমান পাইকারি, সঞ্চালন ও খুচরা মূল্য হারে ডেসকোর রাজস্ব ঘাটতি নেই।  

ডেসকোর পক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শাহীদ সারোয়ার (অব)। এসময় ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টসের নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

এছাড়া শুনানিকালে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
আরকেআর/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।