ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বেলারুশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর প্রস্তুতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
বেলারুশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর প্রস্তুতি

ঢাকা: পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশে জানুয়ারিতে চালু হতে যাচ্ছে দেশটির প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ লক্ষ্যে হট-ট্রায়ালের জন্য প্রকল্পটির স্টার্টআপ কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

গণমাধ্যমকে এ প্রস্তুতির বিষয় জানানোর জন্য প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এর স্টার্টআপ কমপ্লেক্স পরিদর্শনের জন্য তুরস্ক, মিশর, পোল্যান্ড, লিথুনিয়া, উজবেকিস্তান ও রাশিয়ার ৫০ জনের বেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানায়। আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকল্পটির স্টার্টআপ কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে যায় প্রতিনিধিদল।

গণমাধ্যম প্রতিনিধিদলকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত টার্বাইন হল, ৩৩০ কেভি গ্যাস-ইন্সুলেটেড সুইচ গিয়ার বিল্ডিং, স্প্রে-পুল ইত্যাদি স্টার্টআপ কমপ্লেক্সের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ ঘুরিয়ে দেখানো হয়।  

এছাড়া প্রথমবারের মত বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধিদলের কাছে প্রকল্পটির আকাশ প্রতিরক্ষা এবং জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়।

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) গাইডলাইন অনুসরণ করে উন্মুক্ততা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে বেলারুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
 
প্রকল্প কর্তৃপক্ষের মতে, চতুর্থবারের মত বিদেশি সংবাদমাধ্যমের জন্য প্রকল্প পরিদর্শনের আমন্ত্রণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, আগ্রহী সবার সঙ্গে বেলারুশ উন্মুক্ত ও গঠনমূলক আলোচনায় বিশ্বাস করে।

বেলারুশ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে এ পরিদর্শন এক যথাযথ পদক্ষেপ বলে মত প্রকাশ করেন প্রকল্প পরিদর্শনকারী গণমাধ্যম প্রতিনিধিদল।

তারা জানান, এ পরিদর্শনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতামত আদান-প্রদানের পাশাপাশি প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে সরাসরি তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

বেলারুশের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী ভিক্টর কারানকেভিচ জানান, ২০০৭ সালে বেলারুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচি গ্রহণ করে।  

তিনি আরও জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশটির এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ চাহিদাই পূরণ হবে না, বরং উৎপাদিত বিদ্যুৎ হবে সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য।  

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটম এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।  

বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মত বেলারুশ প্রকল্পেও রাশিয়া সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক দু’টি ইউনিট তৈরি করছে। প্রকল্পটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে নির্মীয়মান পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্থাপনার জন্য বেলারুশ প্রকল্পটি রেফারেন্স হিসেবে বিবেচিত।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এসকে/এবি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।