ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ঝাড়খণ্ড থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানিতে যৌথ সঞ্চালন লাইন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
ঝাড়খণ্ড থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানিতে যৌথ সঞ্চালন লাইন প্রতীকী ছবি

ঢাকা: ভারতের ঝাড়খণ্ড থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানিতে যৌথ সঞ্চালন লাইন করবে বাংলাদেশ-ভারত। সরকার ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে দেশের কৃষিজ অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলসহ রাজধানী ঢাকার বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাবে।

‘ভারতের ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর থেকে মনাকষা সীমান্ত পর্যন্ত ৪শ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ। ।

প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ২২৫ কোটি ৪৯ টাকা। প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের পর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মেয়াদের বাস্তবায়ন করবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেড।
 
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
 
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি মঙ্গলবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে বগুড়া পর্যন্ত ১০৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪শ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এই গ্রিডের সঙ্গে ভারতের বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ স্থাপনের জন্য এ প্রকল্পের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়ন থেকে একই জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়ন পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার ৪শ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে।
 
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ২০১০ সালে বিদ্যুৎ খাত সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আদানি পাওয়ার লিমিটেড  ভারতের যে কোনো উপযুক্ত স্থানে ১৬শ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে ডেডিকেটেড অল্টারনেটিভ কারেন্ট (এসি) সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ২০১৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) ও ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়।

ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইনের আনুমানিক ১৪৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ও আনুমানিক ৯০ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে নির্মাণ করতে হবে। ইতোমধেই ভারতের অংশে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।