ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি নিয়ে সভা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি নিয়ে সভা অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা।

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজের অগ্রগতি নিয়ে যৌথ সভা হয়েছে। এতে  প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও রাশিয়া। 

ঢাকায় রাশিয়ার রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন (রোসাটম) এর গণসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

শনিবার (০৯ মার্চ) পাঠানো ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৬ মার্চ রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প সংক্রান্ত রাশিয়া-বাংলাদেশ যৌথ সমন্বয় কমিটির চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এতে ওই প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় উভয় পক্ষ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।  

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অন্যদিকে রুশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের প্রথম উপ- মহাপরিচালক, অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট এবং রূপপুর প্রকল্পের জেনারেল কন্ট্রাক্টর এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দা লোসকিন।

সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার ইগনাতভসহ উভয় দেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন।  

সভায় জনশক্তি প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির ডেলিভারি সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। যৌথ সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্তগুলো অনুমোদিত চূড়ান্ত প্রটোকলে নথিভুক্ত করা হয়েছে।  

রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক দুটি ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে; প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট।  

প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে উভয় ইউনিট নির্মাণের সক্রিয় অধ্যায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। উভয় ইউনিটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিষ্ক্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা- কোর ক্যাচার স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলছে। বর্তমানে উভয় বিদ্যুৎ ইউনিটের মূল ভবন ও কাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে।  

২০২৩ সাল নাগাদ প্রথম ইউনিট ও ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯ 
এসকে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।