ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রাশিয়ার আরও এক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি লোড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
রাশিয়ার আরও এক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি লোড রাশিয়ার আরও এক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি লোড। ছবি: রোসাটমের সৌজন্যে

ঢাকা: রাশিয়ার নভোভারোনেঝ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র-২ এর ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক দ্বিতীয় ইউনিটে জ্বালানি লোড শুরু হয়েছে।

নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এ কার্যক্রম শুরু হয় বলে ঢাকাস্থ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন-রোসাটমের গণসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে।  

এতে বলা হয়, প্রথম দফায় সফলভাবে ১৬৩টি জ্বালানি এসেম্বলি লোড করা হয়েছে।

পরবর্তী ৫ দিনে বাকি জ্বালানি এসেম্বলির লোডিংও সম্পন্ন হবে।  

ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক এই ইউনিটটি বাংলাদেশে নির্মানাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আরও একটি রেফারেন্স প্রকল্প। রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক ২টি বিদ্যুৎ ইউনিট স্থাপন করা হবে। রোসাটমের সর্বাধুনিক অর্থাৎ ৩+ প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ রিয়্যাক্টর হচ্ছে ভিভিইআর ১২০০।  

বর্তমানে এ জাতীয় রিয়্যাক্টর ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্থাপিত হচ্ছে। ইতোপূর্বে রাশিয়ায় ২০১৬ সালে নভোভারোনেঝ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক একটি ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে।  

এটিই ছিল বিশ্বের প্রথম ৩+ প্রজন্মের পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট। এরপর ২০১৭ সালে রাশিয়ার লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এ জাতীয় আরও একটি ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়।  

এদিকে নভোভারোনেঝ ইউনিটে প্রাথমিক জ্বালানি লোডিংয়ের মাধ্যমে রিয়্যাক্টরের স্টার্ট-আপ পর্বের সূচনা হলো। এরপর রিয়্যাক্টরে প্রথম চেইন রিয়্যাকশন ঘটানোর ফলে এটি ‘প্রথম ক্রিটিক্যালিটি’ অর্জন করে।  

এ পর্যায়ে রিয়্যাক্টরটির পরবর্তী কার্যক্রমের মূল প্যারামিটারগুলো নির্ধারিত হয়। পরবর্তী ধাপগুলো হচ্ছে- গ্রিডের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন, এসেনশন পরীক্ষা এবং বাণিজ্যিক উৎপাদনের সূচনা।  

ইউনিটটির অপারেটর রুশ প্রতিষ্ঠান রসএনার্গোএটমের মহাপরিচালক আন্দ্রেই পেত্রভ জানান, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউনিটটি বাণিজ্যিক অপারেশনে যাবে।  

নভোভারোনেঝ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালক ভ্লাদিমির পোভারভ জানান, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, বাংলাদেশ এবং বেলারুশও এ প্রযুক্তি বেছে নিয়েছে। রাশিয়া বর্তমানে বিশ্বের ১২টি দেশে ৩৬টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণ করছে।  

আগের ভিভিইআর ইউনিটগুলোর তুলনায় বর্তমান ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক ইউনিটগুলো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় অনেকাংশে শ্রেয়। এগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা পূর্বের গুলোর তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি, প্রয়োজনীয় লোকবলের সংখ্যা ৩০-৪০ শতাংশ কম। রিয়্যাক্টরের আয়ুস্কাল ৬০ বছর; যা ৮০ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব।   

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এসকে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad