ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

৩৬শ মে. ওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
৩৬শ মে. ওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি ৩৬শ মেগাওয়াট এলএনজি টু পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি/ছবি: শাকিল

ঢাকা: পায়রায় ১৩শ ২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প সংলগ্ন এলাকায় ৩৬শ মেগাওয়াট এলএনজি টু পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও সিমেন্স জার্মানি। 

রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধামন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী, ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত টমাস প্রিনজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে যেসব প্রকল্প হচ্ছে সেগুলো মেরামতের জন্যে ও যান্ত্রিক বিষয়গুলো দেখভালে দেশের প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এখন বাংলাদেশে অনেক মেধাবী প্রকৌশলী রয়েছেন। আরো আসছেন। তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরি সেবার জন্য তৈরি করতে হবে।  

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এটা বাংলাদেশে ইউরোপের কোনো প্রতিষ্ঠানের বৃহৎ বিনিয়োগ। যার আকার ৪ বিলিয়ন ডলারের মতো। প্রতিদিনই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। আমাদের লক্ষ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বাবলম্বী হওয়া।  

বিদ্যুত উৎপাদনে এলএনজিতে যাওয়ার কারণ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন মিশ্র জ্বালানির দিকে যাচ্ছি। কোয়াল, সৌর, প্রাকৃতিক গ্যাস সবকিছু থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের মিশ্র প্রক্রিয়ায় যাওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য কত সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়- সেটা।  

৩৬শ মে. ওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তিঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত টমাস প্রিনজ বলেন, ১৯৭১ সালে যে দেশটি পৃথিবীর অন্যতম গরিব রাষ্ট্র ছিল তা এখন মধ্যম আয়ের দেশ। আর দিন দিন উন্নতি করছে। জার্মানি বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের ভাগীদার হতে চায়।  

এই চুক্তির মাধ্যমে সরকার পটুয়াখালী জেলার পায়রায় লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) ভিত্তিক ৩৬শ মেগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নিলো। নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং জার্মানভিত্তিক সিমেন্স এজি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে।  

প্রকল্পে দু’টি কোম্পানি তিন ইউনিটে ৩৬শ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে, যার প্রতিটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১২শ মেগাওয়াট করে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য কোম্পানিগুলো এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশীদুল আলম, সিমেন্স এজি'র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুনীল মাথোর, সিমেন্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবাল বোস প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭ 
এমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।