ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ভোট চুরি তো গেলো, দেশ চুরির কী হবে: আমীর খসরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
ভোট চুরি তো গেলো, দেশ চুরির কী হবে: আমীর খসরু

বরিশাল: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়া চাইলে আওয়ামী লীগের মতো গুম-খুন করে ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। তিনি গণতন্ত্র বিশ্বাস করেন তাই দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য ক্ষমতা ধরে রাখেননি।

শনিবার (০৫ নভেম্বর) বরিশালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি

আমীর খসরু বলেন, ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন আর ২০১৮ সালে নিশিরাতের নির্বাচনে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। পুলিশ-র‌্যাব-সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে এখন টিকে রয়েছে। আগামী দিনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি বলেন, ভোট চুরি তো গেলো, দেশ চুরির কী হবে? মানুষকে খাওয়ানোর পয়সা নাই, কিন্তু ভোট চুরির মেশিন কেনার পয়সা আছে। আওয়ামী লীগ কি আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়েছে? দুবাইসহ সারা বিশ্বে তাদের টাকা জমা আছে। ঘুষ ছাড়া দেশের কোনো মানুষ কাজ করতে পারে না। এবারের পরীক্ষায় আওয়ামী লীগ নকল করেও পাস করতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে ব্ল্যাকমেইল করেও যেমন কাজ হবে না, তেমনি মামলা দিয়েও কাজ হবে না। দেশে খুন-গুম হওয়া থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সব কিছুর কারণ ভোট চুরি।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বরিশালের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন কাকে বলে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দুর্বিষহ করেছে আওয়ামী লীগ। এ দেশে শিক্ষা নেই, সততা নেই। সরকারের যারা আছে মিথ্যা ছাড়া কিছু বলে না। আওয়ামী লীগ যা বলে তা করে না। আর যা করে তা বলে না। সুস্থ রাজনীতি নেই, ব্যাংকে টাকা নেই। এই যে মিডিয়াগুলো আছে, আমাদের বক্তব্যগুলো এডিট করে প্রচার করবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে একজন পরারষ্ট্রমন্ত্রী আছেন। তিনি ভারতে গিয়ে এই সরকারকে বহাল রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা এই দেশের মানুষের জন্য ভালো কোনো কাজ করছে না। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো খেয়াল নেই। মানুষ কষ্টে আছে, না খেয়ে আছে তার কোনো খোঁজ রাখে না। অথচ ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশে গিয়ে ধরনা দিচ্ছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, এখন আর জনগণের ভোট লাগে না। এক কোটি ৫০ লাখে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হওয়া যায়।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। শুধু নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। তারেক রহমান বীরের বেশে নয়, রাজার বেশে আসবেন বাংলায়।

দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ কী করলো, বাধা দিয়ে একদিনের সমাবেশ তিন দিনে শেষ করলো। ষড়যন্ত্র করে খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে একের পর এক মামলা দিয়েও বিএনপিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না, এর প্রমাণ আজকের জনসমুদ্র।

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রধানবক্তা বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২২
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।