ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা প্রতিহত করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১০

ঢাকা: সংসদে না এসে রাজপথে জ্বালাও-পোড়াও করে দেশজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে সরকার তা শক্ত হাতে দমন করবে বলে বিরোধীদলকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।

আজ শনিবার সকালে সেগুনবাগিচায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্টমন্ত্রী একথা বলেন।



স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামীকাল রোববার বিএনপি’র ডাকা হরতালের সমালোচনা করে বলেন, ‘আন্দোলনের নামে বিরোধীদলের জ্বালাও-পোড়াও নীতি ও ধ্বংসাত্মক কাজ সহ্য করা হবে না। ’

তিনি বলেন, জনগণের জান-মাল রক্ষার স্বার্থে সরকার কোনও আপস করবে না।

বিরোধীদলের উদ্দেশ্যে হরতাল প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজপথে না থেকে সংসদে এসে কথা বলুন। ’

আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র সচিব ইকবাল খান চৌধুরী, এভারেস্টজয়ী মুসা ইব্রাহীম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. ইউসুফ আলী প্রমুখ।

সাহারা খাতুন বলেন, বর্তমান মহাজোট সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই একটি চক্র দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে দেশকে পিছিয়ে দিতে হরতাল ডেকেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘যারা হরতাল ডেকেছে তারা দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে চায়। হরতালের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু আমরা দেশপ্রেমিক সরকার তা হতে দিতে পারি না। ’

আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, সংসদে না এসে বিরোধী অপশক্তি রাস্তায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে, যা কোনো ভাবেই হতে দেওয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, ‘বিনা কারণে বিরোধী দল হরতাল ডেকেছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোলা-৩ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দু’টি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। বিগত সরকারগুলোর কেউই এটা পারেনি। ’

বিরোধীদল আগামীকাল যেসব কারণে হরতাল ডেকেছে, বিদ্যুৎ সংকট সেগুলোই একটি। অথচ এ সংকট তাদেরই সৃষ্টি এমন মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাওয়া ভবন থেকেই দেশে লুটপাটের রাজনীতি পরিচালনা করা হয়েছিল। যার ফলে আজ দেশের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ’

এই হরতালকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ ব্যাহত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে তা প্রত্যাহারের জন্য বিরোধীদলের প্রতি আহ্বান জানান অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। তিনি বিরোধীদলকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘যদি আপনাদের কোনো বক্তব্য থাকে, তাহলে জনগণের কল্যাণের কথা ভেবে সংসদে এসে তা তুলে ধরুন। ’

হরতালের নামে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা দেওয়া, দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত করা এবং রাজাকার-আলবদরদের আস্কারা দেয়া ঠিক হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
বর্তমানে দেশে বিরাজমান বেকারত্বই মাদক ব্যবসা প্রসারের অন্যতম কারণ বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।   তিনি বলেন, একদিকে মাদকব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে দেশের টাকা-পয়সা পাচার করা হচ্ছে, অন্যদিকে বেকারত্বের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত যুবসমাজ এই মাদক সেবনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৪১৪ ঘন্টা, জুন ২৬, ২০১০।
এমএইচকিউ/এমএমকে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।