ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

২৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার

যশোরে ফের বিএনপি অফিস ও অমিতের বাড়িতে হামলা, গুলি-অস্ত্রের মহড়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
যশোরে ফের বিএনপি অফিস ও অমিতের বাড়িতে হামলা, গুলি-অস্ত্রের মহড়া অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি

যশোর: যশোর জেলা বিএনপির কার্যালয় ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের বাড়িতে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেল থেকে গোটা শহর উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ পুলিশের সামনে এসব হামলা ও অস্ত্রের মহড়া চলেছে। সন্ত্রাসীদের বাধায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেননি তারা।

এদিকে, যশোর সদরের রুপদিয়া বাজারে আওয়ামী লীগ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার রাতে বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য উপজেলার বলরামপুর গ্রামের এস এম আকরাম হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন। মামলার পর তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার এস আই নাজমুল হাসান জানান, আটকৃতদের রোববার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, রোববার বিএনপির ২৮ নেতা-কর্মীকে আটকের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালত থেকে বাড়িতে ফেরার পথে শহরের দড়াটানায় পুলিশের সামনেই আওয়ামী লীগের লোকজন আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে আমার বাড়ি ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। জেলা যুব লীগ নেতাদের নেতৃত্বে এই হামলা করা হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মহড়া দেয় এবং অন্তত ৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। তাদের বাধার কারণে আমরা প্রেসক্লাব যশোরে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করতে পারেনি।

নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা পুলিশের মদদে আমাদের দলীয় কার্যালয় ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। এসময় তারা অস্ত্রের মহড়া দেয়।

এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগ নেতা ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া হবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। শনিবার আমরা কোথাও হামলা করেনি, বিএনপিকে প্রতিরোধ করেছি।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, যুবলীগ ও বিএনপির মধ্যে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কাউকে অরাজকতা করতে দেয়নি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

এর আগে গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাত দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খানের বাড়িতে হামলা করা হয়। হামলাকারীরা একাধিক গাড়ি ও মোটরসাইকেল ব্যবহার করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩৭ ঘণ্টা, ২৮ আগস্ট ২০২২
ইউজে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।