ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

কানাইপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে, গ্রেফতার ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
কানাইপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে, গ্রেফতার ৫

ফরিদপুর: প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ায় ফরিদপুরে সন্ত্রাসী ‘খাজা বাহিনীর’ পাঁচ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তারা হলেন- সাগর বেপারী, নাজমুল ইসলাম, রাকিব, তুষার এবং সাব্বির। তাদের সবার বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নে।

রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান এ তথ্য জানান।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. জামাল পাশা (সদ্য এসপি হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পুলিশের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসপি মো. শাহজাহান বলেন, কানাইপুর ইউনিয়নর ছাত্রলীগের বিদ্যমান দুই গ্রুপের প্রভাব বিস্তার নিয়ে গত ২৫ আগস্ট ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেওয়া হয়। যা পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী খাজা বাহিনীর সশস্ত্র মহড়া ছিল বলে পুলিশ জানতে পারে। কানাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিদ্যমান দুই গ্রুপের প্রভাব বিস্তার নিয়ে ওই মহড়া দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম আসলাম ও ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগ গ্রুপকে ভয় দেখানোর জন্য সন্ত্রাসী খাজা গ্রুপের থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৌরভ, দিদার, শহীদ, সোহেলসহ তাদের লোকজন এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন করে।

তিনি আরও জানান, এই শোডাউনের উদ্দেশ্য ছিল কানাইপুর ছাত্রলীগের সভাপতি আসলামকে আক্রমণ ও ভয় দেখানো এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি আসলাম খায়রুজ্জামান খাজাসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত করে (শোডাউনের ছবি ও ভিডিও) পুলিশ পাঁচজনকে সনাক্ত করে এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হয়। তাদের হাতে শোডাউনের সময় লোহার রড়, রাম দা, ছ্যান, ছুরি ছিল।

এসপি বলেন, সন্ত্রাসের প্রতি জিরো টলারেন্স অবস্থানকে সমুন্নত রেখে এই ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং আমরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।