ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘ডিসেম্বরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলার হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
‘ডিসেম্বরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলার হবে’

ঢাকা: স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারণে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২৮২৪ ডলার। আশা করছি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলারে উন্নীত হবে।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই পরিবর্তন এসেছে।

শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর  শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে ১৯৭৫ সালে এদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৭ ডলার। এরপরে খুনি জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসন আমলের ২১ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছিল মাত্র ৩২৯ ডলার। অর্থাৎ ওই ২১ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছিল মাত্র ৫২ থেকে ৫৫ ডলার। এরপরে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসেন। মধ্যকালে কিছু সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারণে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় হয়েছে ২ হাজার ৮২৪ ডলার। আশা করছি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলারে উন্নীত হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই পরিবর্তন এসেছে।

বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলার মানুষকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতেন বলেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু ভালবাসতেন না, বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপোষহীনভাবে সারা জীবন লড়াই সংগ্রাম ও আন্দোলন করে গেছেন। পাকিস্তানিদের শোষণ,শাসন, অত্যাচার, নির্যাতন ও বৈষম্যকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে জন মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। যে মানুষগুলো এ মাটির মালিক তাদের ভোটে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা দেয়নি। ক্ষমতা না দেওয়ার কারণে সারা দেশের মানুষ ফুঁসে ওঠে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে দেশের মানুষ যুদ্ধ ঝাঁপিয়ে পড়ে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদেরকে তৈরি হতে হবে। আজকের বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলা হয়। প্রযুক্তিকে এডাপ করা হচ্ছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে আমাদের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। আমাদের আগামী প্রজন্মের সন্তানরা প্রত্যেকে শিক্ষা, দীক্ষায়, জ্ঞান ও গুরিমায় সমৃদ্ধ হয়ে আগামী দিনের বিশ্বকে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

আলোচনা সভায় শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি মহাসচিব কেএম শহিদ উল্যার সভাপতিতে বক্তব্য রাখেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল আউয়াল শামীম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ উপদেষ্টা ফারজানা সামাদ চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট  ২০, ২০২২
এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।