ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আগামী নির্বাচন আ.লীগের বাঁচা-মরার নির্বাচন: মায়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
আগামী নির্বাচন আ.লীগের বাঁচা-মরার নির্বাচন: মায়া আ. লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের বাঁচা-মরার নির্বাচন। তাই নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে যেতে হবে।

বিএনপিকে উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার। ২১ আগস্টের আহতরা ১৮ বছর ধরে শান্তিতে নেই। তাই নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে জবাব দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেননি। তিনি মুখোশধারী ছিলেন। তার পরিবার খুনি পরিবার। ৭৫'এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে ইন্ধন ছিল জিয়ার। এরই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী-পুত্র আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল।  

শনিবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত-নিহত পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ২০০৪ সালে খালেদা জিয়া-তারেকের নেতৃত্বে গ্রেনেড হামলা ছিল আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার সর্বোচ্চ পরিকল্পনা। এই খুনি পরিবারকে দেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। এ খুনিদের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, ২১ আগস্ট জাতির জন্য ও আওয়ামী লীগের জন্য কলঙ্কের দিন। এটি ছিল আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নেওয়ার দিন। সেদিন একটি বড় ট্রাক ও একটি টেবিল শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে সহায়তা করেছিল। সেদিন চিকিৎসার অভাবে ২২ জন মারা গিয়েছিলেন। ব্লাড ব্যাংক তালা মেরে দিয়েছিল বিএনপি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউসারসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
এমকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।