ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীদের চিনে রাখতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীদের চিনে রাখতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার জন্য হলেও ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীদের আমাদের চিনে রাখতে হবে।   সোমবার (১৫ আগস্ট) এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে এই আয়োজন করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর ১৫ আগস্ট এলে প্রথমেই আমাদের ষড়যন্ত্রকারীদের কথা মনে পড়ে। তারা জাতির পিতার সঙ্গেই মিশে থেকে ১৯৭৫ সালের এই দিনে তাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। সেই ষড়যন্ত্রকারীরা ও তাদের বংশধররা এখনো প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা বর্ণচোরা, তারা আমাদের সঙ্গেই মিশে থাকে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার জন্য হলেও তাদেরকে (ষড়যন্ত্রকারী) আমাদের চিনে রাখতে হবে। ষড়যন্ত্র করেই বাঙালি জাতিকে দীর্ঘদিন নির্যাতন করেছে পাকিস্তানিরা। ষড়যন্ত্র করেই তারা বঙ্গবন্ধুকে দীর্ঘ দিন জেলে রেখেছে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই জাতির জনককে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারী কারা হয়? যারা খুব বেশি কাছাকাছি থাকে। সবসময় সে পর্যবেক্ষণ করে। তাদের পেছনেও অনেক লোক থাকে। যারা বঙ্গবন্ধুর কাছে ছিল, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তাদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিল। কিন্তু তারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করেনি। ষড়যন্ত্রকারীরা আশেপাশেই ঘুরে বর্ণচোরার মতো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখনো দেশের বিরাট একটা অংশ বঙ্গবন্ধুকে মানে না। জাতির পিতাকে তারা ধারণ করে না। এমনকি তারা জয় বাংলাও বলে না। স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়তো সবাই করে না, কিন্তু পরে স্বাধীনতার স্থপতির বিষয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকে। ভারতের স্বাধীনতার স্থপতি মহত্মা গান্ধীর বেলায় কিন্তু তাদের জাতি ঐক্যবদ্ধ, তারা সবসময় ঐকমত্য আছে, কিন্তু আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর বেলায় কোনো ঐকমত্য নেই।

দেশের স্বাস্থ্যখাতে জাতির পিতার অবদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে অনেক কিছু করে গেছেন। বিএমডিসি, নিপসম, বিএমআরসিসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান করেছেন। আর এখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা তিনি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রমাণ করেছেন আমরা সবকিছুই করতে পারি। যেমনটা করোনা মোকাবিলা করেছি, টিকায় সফলতা অর্জন করেছি। দেশ গঠনে আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রত্যেককেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। একজন নার্স রোগীকে ভালো সেবা দেবে, এটাই দায়িত্ব। একজন চিকিৎসক রোগীকে দেখে ভালো চিকিৎসা দিল, সুস্থ করে তুললো এটাই তার দায়িত্ব। প্রত্যেককেই এটা করতে হবে, তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে কাজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি সবচেয়ে বড় সম্মান প্রদর্শন করা হবে, যদি তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করি। শুধু আলোচনার মধ্যে দিয়ে নয়, কাজের মধ্যে দিয়ে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
আরকেআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।