ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

উন্নত-আধুনিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ বদ্ধ পরিকর: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
উন্নত-আধুনিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ বদ্ধ পরিকর: কাদের

ঢাকা: আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বাংলাদেশের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্য বদলের যাত্রা শুরু হয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-আধুনিক-শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ বদ্ধ পরিকর বলেও তিনি জানান।

বুধবার (২২ জুন) এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৩ জুন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ, সর্বপ্রাচীন এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম অতঃপর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সংগ্রামসহ আমাদের জাতীয় জীবনে যা কিছু মহৎ অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। বাংলা, বাঙালি, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগ এক অবিচ্ছিন্ন অনুভূতির নাম।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান এবং ভ্রান্ত দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা; অতঃপর বাঙালি জাতির উপর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার, নির্যাতন, চরম অবেহলা ও দুঃশাসনে নিষ্পেষিত বাংলার জনগণের মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। এ দেশের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্য বদলের যাত্রা শুরু হয় আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। বাঙালির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাফল্যের রচয়িতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালি তার ভাষার অধিকার পেয়েছে, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফার সাঁকো পেরিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নভূমিতে পদার্পণ করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই জনপদে বিগত ৭৩ বছর ধরে সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতির সমন্বয় এবং রাজনীতিতে সততা, দেশপ্রেম ও সম্প্রীতির আদর্শকে আওয়ামী লীগ সর্বদা ধারণ করেছে। জনগণের ভেতর থেকে উত্থিত একটি প্রগতিশীল সংগ্রামী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ হচ্ছে সমাজের অগ্রসর চিন্তা-চেতনা, আদর্শ, লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রবাহিনী। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের রূপকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির স্বতন্ত্র জাতি-রাষ্ট্র ও আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার সুমহান ঐতিহ্যের প্রতীক। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গত চার দশকের বলিষ্ঠ ও ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় অনন্য মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত হয়েছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, গত সাত দশকের বেশি সময় ধরে গণমানুষের প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্যোন্নয়নে নিরন্তন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এই পথচলায় অধিকাংশ সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। যাঁদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আওয়ামী লীগ সুদৃঢ় সাংগঠনিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে এবং জনমানুষের আবেগ ও অনুভূতির বিশ্বস্ত ঠিকানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই নির্দেশিত হয়েছে দেশ ও দেশের মানুষের এগিয়ে চলার পথ। একইভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির গতিপথও নির্ণিত হয়েছে জনকল্যাণ ও গণআকাক্সক্ষাকে ধারণ করে। আওয়ামী লীগ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-আধুনিক সুখি-সমৃদ্ধশালী কল্যাণকর ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে বদ্ধ পরিকর।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এসকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।