ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নড়াইলে ব্যস্ত সময় পার করলেন মাশরাফি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
নড়াইলে ব্যস্ত সময় পার করলেন মাশরাফি

নড়াইল: নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা সোমবার (২০ জুন) তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এদিন প্রথমে বেলা ১১টায় এস এম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের নতুন একতলা ভবনের উদ্বোধন করেন।

৮০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।

পরে দুপুর ১২টার দিকে সীতারামপুর-মূলিয়া সড়ক উদ্বোধন করেন। আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।    

এরপর দুপুর ১টার দিকে কাজলা নদীতে মুলিয়া-পানতিতা এলাকায় সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল পৌরসভার মাছিমদিয়া এলাকায় অবস্থিত এস এম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক সুলতান মাহমুদ বিপ্লব, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়,  জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুনাভ রায়, এস এম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অনাদি বৈরাগী, সাবেক অধ্যক্ষ (অব.) অশোক কুমার শীল, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকুসহ স্থানীয় নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এছাড়া দুপুর ১২টায় সীতারামপুর-মূলিয়া সড়ক উদ্বোধনের পর মুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক পথসভায় বক্তব্য দেন। এ সময় বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাট করে খেলাধুলার উপোযোগী করাসহ বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

মুলিয়া ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও নিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজলা নদীতে সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেন মাশরাফি। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ঢাকা থেকে আসা প্রকল্প উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. এবাদত আলী ও নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুজায়েত হোসেন। এসময় তিনি নৌকায় নদী পার হয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, আপনারা দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে এই নদী পার হন। অনেক ধৈর্য্য ধরেছেন। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর সেতুর কাজ শুরু করার কথা থাকলেও করোনার কারণে হত ২ বছর ধরে তা পারিনি। আশা করি খুব শিঘগিরই এ প্রকল্পটি পাস করাতে পারব এবং এর বাস্তবায়ন আপনারা দেখতে পারবেন।

এছাড়া এদিন বিকেলে তিনি শাহাবাদ, মাইজপাড়া, হবখালী ও চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে টিআরের চেক বিতরণ এবং ঐচ্ছিক তহবিল থেকে অর্থ বিতরণ করবেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ২০ জুন, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।