ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেরণা: সিপিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেরণা: সিপিবি

ঢাকা: খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেরণা বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে পুরানা পল্টনের কমরেড মণি সিংহ সড়কের মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ দিবসে উপলক্ষে আয়োজিত সিপিবির আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড শাহীন রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির সাবেক সভাপতি কমরেড মনজুরুল আহসান খান, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, খাপড়া ওয়ার্ডে আহত বন্দী রশিদ উদ্দিন আবুর কন্যা লীলা রশিদ, প্রসাদ রায়ের কন্যা বৃত্বা রায় দীপা। এছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমরেড আব্দুস শহীদের কন্যা জয়া শহীদ।

সভায় সিপিবি নেতারা বলেন, খাপড়া ওয়ার্ডের বিপ্লবী লড়াই এ দেশের গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসের এক উজ্জ্বলতম পর্ব। কারাগারের অভ্যন্তরেও কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীরা শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছেন। সেদিনের সেই লড়াই আজও আমাদের পথ দেখায়, উজ্জীবিত করে। খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেরণা।

খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে নেতারা আরও বলেন, খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই আমাদের গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ পর্ব। শুধু ইতিহাসকে জানার জন্যই নয়, ভবিষ্যতের দিশা পাবার জন্যও খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াইকে অনুধাবন করা জরুরি। খাপড়া ওয়ার্ডের গৌরবোজ্জ্বল কাহিনী ও শিক্ষা সবখানে ছড়িয়ে দিতে হবে। মানবমুক্তির লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াইয়ের ধারায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। শহীদ-যোদ্ধাদের আদর্শ, লড়াই ও আত্মত্যাগের ধারা নতুন প্রজন্মকে পথ দেখাবে। শহীদদের স্বপ্নের সমাজতান্ত্রিক-সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই শহীদদের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে।

সভার শুরুতে খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

সিপিবি নেতারা খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া এবং পাঠ্যপুস্তকে খাপড়া ওয়ার্ডের বিপ্লবী কাহিনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্ট-রাজবন্দীদের ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে বন্দী অবস্থায় শহীদ হন কমিউনিস্ট পার্টির সুধীন ধর, বিজন সেন, হানিফ শেখ, সুখেন্দু ভট্টাচার্য, দেলোয়ার হোসেন, কম্পরাম সিং ও আনোয়ার হোসেন। এতে আরও ৩২ জন কমিউনিস্ট-রাজবন্দী গুরুতর আহত হন।

এছাড়াও এদিন রাজশাহী জেলের অভ্যন্তরে খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ স্মৃতিসৌধে সিপিবি নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।