ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

দলীয় লোকদের লুটপাটের লাইসেন্স দিয়েছে সরকার: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
দলীয় লোকদের লুটপাটের লাইসেন্স দিয়েছে সরকার: রিজভী

ঢাকা: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণে মানুষের মনে উৎসব পালনের আনন্দ নেই মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দলীয় লোকদের লুটপাটের লাইসেন্স দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে কারণে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া।

মানুষের নাগালের বাইরে।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পরে একই স্থানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসাসের উদ্যোগে গরিব মানুষের মধ্যে খাদ্যপণ্য বিতরণ করেন রিজভী।

দোয়া মাহফিলের আগে দেয়া বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমাদের নতুন প্রেক্ষাপটে শবে বরাত পালন করতে হচ্ছে। আগে সারা রাত নামাজ পরে ইবাদত করতাম আনন্দের সঙ্গে। কিন্তু আজ সেই আনন্দ তিরোহিত। দেশে দুঃসহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এখানে কোনো কিছু স্বাভাবিক না। স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করা যায় না।
 
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। এখন জাতি গোষ্ঠী ভেদে উৎসব পালন করতে গেলেও ভয় হয়। এখন মানুষের জীবন ধারণ কঠিন হয়ে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষের নাগালের বাইরে।

রিজভী বলেন, মানুষ ভাত ও তরকারির বিকল্প খুঁজছে। আগের ৫ টাকার বনরুটি এখন ১০ টাকা। কলা ১০ টাকা। এগুলো হচ্ছে দুর্ভিক্ষের লক্ষণ। মানুষ বিকল্পও খুঁজে পাচ্ছে না। ভরা মৌসুমেও পণ্যের দাম বেড়েছে। এটা যে কৃত্রিমভাবে করা হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তিনি আরও বলেন, হাট-ঘাট, বাজার-বন্দর সবই সরকারের লোকজনের সিন্ডিকেটের কবলে। শেখ হাসিনা তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের লুটপাট করে খাওয়ার জন্য লাইসেন্স দিয়ে রেখেছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উদ্যোগ নেই। বরং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে। তারা এসি রুমে বসে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। অন্যদিকে দেশে গরিব মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এজন্য দায়ী অবৈধ সরকার ও তার মন্ত্রীরা।

রিজভী বলেন, তারা দেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার ধ্বংসের পর মানুষের কায়িক উপার্জন ধ্বংস করছে। ফলে আজকে এ যে পর্বন বলেন, শবে বরাত বলেন মানুষ হালুয়া রুটির ব্যবস্থা করবে কী করে? তাদের মনে তো আনন্দ নেই। তাই আসুন আমরা আজকে বিশেষ এ মহিমান্বিত রাতে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি যেন এ অবৈধ সরকার বিদায় নেয় এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পান। দেশনায়ক তারেক রহমান সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন এবং মানুষ ঠিকমত খাবার ও বেঁচে থাকার সুযোগ পায়।

দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেসবাহ, নাজিম উদ্দিন আলম, কাজী রফিক, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান, ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, শ্রমিক দলের কাজী মো. আমীর খসরু, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, বাদল হাওলাদার, কৃষক দলের সাবেক নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহেদুল কবির, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মেহবুব মাসুম শানিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী।

অনুষ্ঠানে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।