ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপিই দেশকে নতজানু রাষ্ট্র বানাতে চায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২১
বিএনপিই দেশকে নতজানু রাষ্ট্র বানাতে চায়

ঢাকা: আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই দেশকে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা চলছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ জানে কারা বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। কথায় কথায় যারা দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে নালিশ করে, যারা বিদেশি দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করে, তারাই বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়।

তিনি বলেন, বিএনপিই তাদের কর্মকাণ্ডের দ্বারা বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা নষ্ট করছে৷ অপরদিকে আওয়ামী লীগ বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে৷ বিএনপিই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশ ও জাতির স্বার্থ বিসর্জন দেয় এবং বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা করে ৷

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে শেখ হাসিনা সবসময় আপোষহীন।   যদি তিনি জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব সমর্থন করতেন তাহলে  ২০০১ সালেই ক্ষমতায় আসতে পারতেন।

জনগণ এখন বিএনপির গণ-আন্দোলনের ডাক শুনলে হাসেমন্তব্য করে তিনি বলেন, কারণ গত ১৩ বছর বিএনপি বহুবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, কিন্তু জনগণ তো দূরের কথা তাদের নেতাকর্মীরাই সাড়া দেয়নি।

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে গণ-আন্দোলনের বস্তগত কোনো উপাদান নেই, অতীতের মতো এবারও জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দেবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একদিকে ভোটে আসবে না, আবার নির্বাচিত হয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম সংসদে যাবে না। সংসদে বিএনপির প্রতিনিধিও রয়েছে, তাহলে একদলীয় শাসন হয় কীভাবে? বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে যা করেছিলো জাতি তা ভুলে যায়নি। বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো বহুদলীয় তামাশা।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর ক্ষেত্রে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া মাত্রই জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, অনিয়ম করে যারা প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বা পাঠাবেন তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে, প্রমাণ পাওয়া মাত্রই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আবারও স্মরণ করে দিয়ে বলেন, কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এবারও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন, তাদের ভবিষ্যতে কোনো পদ ও মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২১
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।