ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

মন্ত্রীদের কথা যেন মাস্তানের হুংকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২১
মন্ত্রীদের কথা যেন মাস্তানের হুংকার

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের ঘাড়ের ওপর দৈত্যের মতো চেপে বসা নিশুতি সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের ‘বাক্যদূষণ’ ইদানিং প্রায় মহামারির পর্যায়ে পৌঁছেছে।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১২টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া দুর্নীতি-দুশাসন-গুম-খুন-লুটপাট আর অর্থ পাচার করতে করতে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী তাদের নেত্রীকে তুষ্ট করতে, একটু কৃপার লোভে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অশোভন সন্ত্রাসী ভাষায় বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে সীমা লংঘন করে চলেছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কেবল মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের পক্ষেই সম্ভব। রাতে ব্যালটে সিলমারা অটো ভোটের বিতর্কিত এই প্রতিমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের মতো কুৎসা গাইছেন। ভোট ডাকাতদের মুখেই এ ধরনের কথা মানায়। ক্ষমতার সুখে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে এখন ‘কাকস্য পরিবেদনা’র মধ্যে রয়েছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তথ্য প্রতিন্ত্রীর বক্তব্য যারা শুনেছেন তারা হতবাক হয়ে গেছেন। এটা কি কোনো সভ্য দেশের মন্ত্রীর মুখের ভাষা হতে পারে? মনে হয়েছে গলির সন্ত্রাসী মাস্তানের হুংকার। বস্তির অশিক্ষিত বোহেমিয়ান গালিবাজদের খিস্তি। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, এই ধরনের লোকরাও এখন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একদিন আগে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে স্বীকার করে নিলেন তাদের অধীনে অতীতের সকল নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। বাংলাদেশে ভোট ডাকাতির জনক আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্র হত্যাকারী হলো আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের অধীনে যত নির্বাচন হয়েছে সকল নির্বাচন হয়েছে ফেনী স্টাইলে। কেন্দ্র দখল করে জালভোটের উৎসব করে আওয়ামী লীগ, দিনের ভোট রাতে করে করে আওয়ামী লীগ, বিনা ভোটে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ।  

তিনি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাজিব আহসান এবং বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ সকল রাজবন্দির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২১
এমএইচ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।