ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট: হানিফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২১
জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট: হানিফ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা ছিল। জিয়া তার সব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ রেখে গেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) অধ্যাদেশ জারি করেন। স্বাধীনতাবিরোধী গোলাম আজমকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) সদর দফতর রমনায় শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কাউন্সিল হলে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ  ফজিলাতুনেছা ও ১৫ আগস্টের সব শহীদদের স্মরণে’ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। জিয়াউর রহমান কখনোই মুক্তিযুদ্ধ করেননি। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। যদি তিনি মুক্তিযুদ্ধ করতেন তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা তিনি করতে পারতেন না। বিএনপি দাবি করে, জিয়াউর রহমান সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। অথচ সিলেটের কোনো মানুষ তার মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণের ইতিহাস জানে না। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি আসলে কখনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে না থাকেন তাহলে কেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করলেন না। কেন তাদের পুরস্কৃত করেছেন। তাদের বিদেশে পাঠিয়ে টাকা পয়সা দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি দিয়েছেন। তার যদি সম্পৃক্ততা নাই থাকে কেন এসব কর্মকাণ্ড করেছিলেন। এসব কর্মকাণ্ডে প্রমাণ হয় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারিগর ছিলেন জিয়াউর রহমান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকৌশলী রণক আহসান।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ  আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২১
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।