ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২১
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে: মির্জা ফখরুল ছবি: বাদল

ঢাকা: একটি নিরপেক্ষ সরকার ও একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। এই কাজটি আমাদের করতে হবে, অন্য কেউ করে দিয়ে যাবে না।

সোমবার (৭ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, খুব পরিষ্কার কথা, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এই নির্বাচন কমিশন কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সুতরাং, দে মাস্ট গো, তাদের যেতে হবে। এই কাজটি আমাদের করতে হবে, অন্য কেউ করে দিয়ে যাবে না। আমেরিকা করে দিয়ে যাবে না, চীন করে দিয়ে যাবে না, ভারত করে দিয়ে যাবে না। বাংলাদেশের মানুষকে এটা করতে হবে এবং এর নেতৃত্ব অবশ্যই বিএনপিকে দিতে হবে।

তিনি বলেন, অতীতের মতো ছাত্র ও শ্রমিক শ্রেণিকেই আন্দোলনে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। আপনারা যেটা চাচ্ছেন মুহূর্তের মধ্যে, যেটা আমরা সবাই চাচ্ছি যে, রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান হবে। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকার পরাজিত হবে। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, রাজপথে গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরাজিত হবে, অবশ্যই হবে। গণঅভ্যুত্থান তৈরি করতে হবে তো? কারা তৈরি করবে? হু উইল ক্রিয়েটিভ। ইট ইজ দ্য ইয়াং জেনারেশন। তারাই পারবে। যেকোনো পরিবর্তনে তাদেরই সামনে আসতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে যদি আমরা আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা সফল হবো।

আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে। আমার বয়স ৭২ পার হয়ে গেছে। তারপরেও তো আমি রাস্তায় এসে দাঁড়াই। যেদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজকে (ছাত্র নেতা) আমার বুক থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেদিন ক’জন আপনারা ঘুরে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বলেন তো? এগুলো আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। আমরা তো সব সময় আশা করি যে, আমাদের শক্তি যোগাবে তরুণরা।

মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে বলেন বিএনপি ডাক দিচ্ছে না কেন? বিএনপি তখনই ডাক দেবে যখন বিএনপি মনে করবে যে, ডাক দেওয়ার সময় হয়েছে। ডাক দিয়েছে তো অতীতেও। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে আমরা প্রায় ছয় মাস অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে তুলিনি? একেবারে গ্রামে-গঞ্জে হাট-বাজার পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়নি? ২০১৫ সালে  খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ হলেন, আমরা সবাই কারাগারে চলে গেছি। তখন গোটা বাংলাদেশ অবরোধ ছিল না? 

‘পরিবর্তনগুলো আপনাদের বুঝতে হবে। সঠিকভাবে পরিবর্তনগুলো বুঝে আমাদের জনতা ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। জনতার শক্তির কাছে কোনো শক্তি দাঁড়াবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে ওদের পরাজিত করতে হবে। ’

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ হাসান, মেহেদী হাসান, জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিরাজুল ইসলাম, কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন, জাহানারা সিদ্দিকী, সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, মাসুদ আদনান, মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, এমটাবের বিপ্লব উজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।