ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

রাজশাহীতে পৌর নির্বাচনে জামানত হারাচ্ছেন ৫ মেয়র প্রার্থী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
রাজশাহীতে পৌর নির্বাচনে জামানত হারাচ্ছেন ৫ মেয়র প্রার্থী রাজশাহীতে পৌর নির্বাচনে জামানত হারাচ্ছেন ৫ মেয়র প্রার্থী। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহীর দুই পৌরসভা নির্বাচনে জামানত হারাচ্ছেন পাঁচ জন মেয়র প্রার্থী। পৌর এলাকায় মোট ভোটারের মধ্যে আট শতাংশ ভোট কোন প্রার্থী না পেলে তাকে জামানত হারাতে হয়।

দুই পৌরসভায় প্রার্থী ছিলেন আট জন। এর মধ্যে পাঁচ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এই পাঁচ জনের মধ্যে একজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।

পৌর নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৮ ডিসেম্বর রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী এবং পুঠিয়া পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পুঠিয়ায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী আল-মামুন। আর কাটাখালীতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আব্বাস আলী।

পুঠিয়ায় তিন জন এবং কাটাখালীতে পাঁচ জন মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে কাটাখালীর স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবু শামা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে দলীয় প্রার্থী আব্বাস আলীকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তবে নির্বাচন কমিশনে তার প্রার্থিতা বহাল ছিল। ব্যালটে তার নারিকেল গাছ প্রতীকে পড়েছে ৫১ ভোট। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী তাকেও জামানত হারাতে হচ্ছে। ফলে কাটাখালীতে মোট চার জন এবং পুঠিয়ায় একজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাটাখালী পৌরসভায় একমাত্র জামানত ফেরত পাচ্ছেন বিজয়ী প্রার্থী আব্বাস আলী। তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৬৫টি। এই পৌরসভায় মোট ভোটার ২২ হাজার ২৩৯ জন। এখানে দুই হাজার ১৫৭ ভোটের কম পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। কাটাখালীতে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক সিরাজুল হক পেয়েছেন ধানের শীষে পেয়েছেন ৭৮ ভোট। জামায়াত নেতা মাজিদুর রহমান জগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৬৭ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকনুজ্জামান মাসুদ মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৭৯ জন। এদের প্রত্যেকেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

অন্যদিকে, জেলার পুঠিয়া পৌরসভায় জামানত হারাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম আযম নয়ন। নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন এক হাজার ১৭৪ ভোট। পুঠিয়ায় মোট ভোটার ১৬ হাজার ৬৩৩ জন। এখানে এক হাজার ৫৩৬ ভোটের কম পেলে প্রার্থীকে জামানত হারাতে হবে। পুঠিয়ায় বিজয়ী মেয়র প্রার্থী আল-মামুন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৯২০ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র রবিউল ইসলাম রবি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১৬০ ভোট। দলীয় দুই প্রার্থী তাদের জামানত ফেরত পাবেন।

রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি ৫০ হাজার ভোটারের জন্য মেয়র প্রার্থিদের ১৫ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়। কোন প্রার্থী মোট ভোটারের আট শতাংশ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। ভোটের ফলাফলের গেজেট হলেই কম ভোট পাওয়া প্রার্থিদের জামানত বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
এসএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।