ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

অধিকার আদায়ে লড়াইয়ের বিকল্প নেই: মান্না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
অধিকার আদায়ে লড়াইয়ের বিকল্প নেই: মান্না অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অন্যরা

ঢাকা: সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।  

তিনি বলেন, এ সরকার জনগণের সব অধিকার হরণ করছে।

এ সরকারের আমলে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ মিলনায়তনে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মান্না বলেন, এ সরকারের সঙ্গে কোনো আপস নেই। আপস চলবে না। আপস করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। গণতান্ত্রিক অধিকার নেই বলেই দুর্নীতি আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনটাই হচ্ছে সংবিধান ও গণতান্ত্রিক অধিকার পরিপন্থী। সবাইকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন পথ তৈরি করতে হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংবিধান পরিপন্থী একটি কালো আইন। পরিপূর্ণ অগণতান্ত্রিক এ আইনের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা করছে। সংবিধান প্রদত্ত অধিকার আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন পরিপূর্ণ ব্যর্থ। তারা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজন আন্দোলন। শাসকদলগুলো নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রেখে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে। এ সরকার উন্নয়নের গণতন্ত্রের নামে প্রকৃত অর্থে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। রাজনৈতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নিবন্ধন আইন বাতিলে সোচ্চার হতে হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, দেশকে রাজনীতি শূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ১/১১ সরকার তথাকথিত নিবন্ধন আইন প্রণয়ন করেছিল। গণতান্ত্রিক সরকার সেই আইন কার্যকর করে মূলত রাজনৈতক বিকাশের পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। দেশের রাজনীতি এখন অরাজনৈতিক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় রাজনীতিতে আর রাজনীতিবিদদের অবস্থান থাকবে না। তাই রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন প্রয়োজন।

পরিষদের আহ্বায়ক ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার, এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, পরিষদের সদস্য সচিব আবদুল মোনেম, বাংলাদেশ কর্মসংস্থান আন্দোলনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ইউডিপির চেয়ারম্যান গাজী মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় লীগের কো-চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, গ্রিন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, বাংলাদেশ কোর সমাজের সভাপতি মো. হাসান, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।