ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ঢাকা-১৮: জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ৭ মনোনয়নপ্রত্যাশীর অভিযোগ

মহসিন হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
ঢাকা-১৮: জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ৭ মনোনয়নপ্রত্যাশীর অভিযোগ এস এম জাহাঙ্গীর

ঢাকা: ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির সাত মনোনয়নপ্রত্যাশী আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী এস এম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

৪টি আসনের উপ-নির্বাচনে গত শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় এস এম জাহাঙ্গীরকে অভিযুক্ত করে সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন তারা।

ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির নয়জন নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী। এর মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, কফিলউদ্দিন আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, আক্তার হোসেন, মোস্তফা কামাল, বাহাউদ্দিন সাদী ও আব্বাসউদ্দিন লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন।

গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেওয়া ওই অভিযোপত্রে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকারে সকল মনোনয়নপ্রত্যাশীর সমর্থকরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল। হঠাৎ করে মনোনয়নপ্রত্যাশী এস এম জাহাঙ্গীরের বাহিনী লাঠিসোঁটাসহ আরেক মনোনয়ন প্রার্থী এম কফিল উদ্দিনের সমর্থকদের ওপর বর্বরোচিত হামলা করে। এতে বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন, এস এম রাজ্জাক বকুল, ইয়াকুতুর রহমান, রায়হান, আব্দুর রাজ্জাক, সুলতান, বকুল মন্ডল, মাসুদ মিয়া, মহিউদ্দিন, বদরুল আলমসহ আরো বেশ কয়েকজন আহত হন।

লিখিত অভিযোগে নেতৃবৃন্দ হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সংযুক্ত করেছেন। এরকম সংযুক্তিতে বলা হয়েছে— হামলায় লাঠি হাতে নেতৃত্ব দেন এস এম জাহাঙ্গীরের শ্যালক ছাত্রলীগ নেতা দিপু সিকদার। এস এম জাহাঙ্গীরের আরেক শ্যালক উত্তরা পূর্ব থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অপু সিকদার এবং আহম্মেদ আলী সাগর, দক্ষিণখান থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আল আমিন সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুমের ঘনিষ্ঠভাজন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন রুবেল এবং এস এম জাহাঙ্গীরের নিজ এলাকা শরীয়তপুরের ছেলে মনিরুল ইসলাম সোহাগ এ হামলায় নেতৃত্ব দেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্বিতীয় দফায় গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশের সময় কার্যালয়ের গেটে মনোনয়ন প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সেগুনকে এস এম জাহাঙ্গীরের বাহিনী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তৃতীয় দফায় হামলার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেন দক্ষিণখান থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম মিঠু, উত্তরা পূর্ব থানা যুবদলের সভাপতি আমিনুল হক, তুরাগ থানা যুবদলের সভাপতি আলমাস আলী, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এস আই টুটুল, বিমানবন্দর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল রিয়াদ।

এরা সম্মিলিতভাবে গুলশান কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পড়েন এবং গুলশান কার্যালয়ের নিচ তলার অপেক্ষমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ওপর একযোগে হামলার চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের হামলার শিকার হন উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির সিনিয়র নেতা ও আশির দশকের ছাত্রনেতা মতিউর রহমান মতি। তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন উত্তরখান থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল খান।

মনোনয়নপ্রত্যাশী সাত নেতা ঢাকা-১৮ এর নির্বাচনের তফসিল নভেম্বর মাসের আগে ঘোষণা হচ্ছে না বলে সময় নিয়ে হলেও এই তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা ঘোষণা না কররা অনুরোধ জানিয়েছেন।

অপরদিকে ঢাকা-১৮ আসনে এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনকে মনোনয়ন দিতে বৃহত্তর উত্তরার সাত থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদকে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে ওই আসনের অধীন দক্ষিণ খান, উত্তরখান, খিলখেত, বিমানবন্দর, তুরাগ, উত্তরা পূর্ব ও উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা স্বাক্ষর করেন। চিঠির একটি অনুলিপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছেও পাঠানো হবে বলে নেতৃবৃন্দ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।