ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

‘সিনহা হত্যার বিচার নিয়ে তালবাহানা সহ্য করা হবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২০
‘সিনহা হত্যার বিচার নিয়ে তালবাহানা সহ্য করা হবে না’ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বক্তব্য রাখছেন।

ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘কক্সবাজারের টেকনাফে যে ঘটনা ঘটেছে তার যেন বিচার হয়। এ বিচার নিয়ে কোনো রকম তালবাহানা, গড়িমসি সহ্য করা হবে না।

শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সদ্য প্রয়াত স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

হাবিব উন নবী বলেন, ‘যে পুলিশ বাহিনী এ সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসিয়েছিল সেই পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা এখন নিজেদের ওয়েস্টার্ন ছবির হিরো ভাবছেন। মানুষের জীবন বাঁচানো যাদের কাজ, তারা এখন মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে হাবিব উন নবী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা বলেছেন সরকারের শিকড় নাকি মাটির অনেক গভীরে। উনি ভুল বলেছেন। যে সরকার আগের রাতে সিঁধকাটা চোরের মতো জনগণের ভোট গভীর রাতে চুরি করে ক্ষমতায় আসে, সেই সরকারের শিকড় কখনো মাটির গভীরে থাকে না। সেই সরকারের শিকড় থাকে রাতের গভীরে। ’

তিনি বলেন, ‘উনি বলেছেন (ওবায়দুল কাদের) কে বা কারা নাকি সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে। উনি কাদের মিন করেছেন আমরা জানি না। তবে আমরা খালি চোখে যা দেখছি, দেশে কি এমন কোনো সরকার আছে? একজন মানুষ ওই চেয়ারে জোর করে বসে আছেন। আর কিছু চেয়ার রেখেছেন কিছু মন্ত্রী রেখেছেন, এসব আই ওয়াশ। উনি নিজেই প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, উনি নিজেই সবকিছু। কিছু মন্ত্রী আছেন যাদের বিনোদন দেওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। সুতরাং যে সরকারই এখন নেই, তাকে আর হটানোর আলাদা কি প্রচেষ্টার প্রয়োজন আছে?’

প্রয়াত ‘শফিউল বারী বাবু স্মৃতি সংসদ’ আয়োজিত স্মরণ সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরাজ্জামান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক কাউসার।

উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আনু মোহাম্মদ শামীম, আবুল কালাম, ডা. জাহিদ হোসেন, ফরহাদ হোসেন, হারুনুর রশিদ, মোরশেদ আলম, বদরুদ্দোজা শওকত, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রফিক হাওলাদার, মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান মোছাব্বির, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, তানজিল হাসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২০
এমএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।