ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

পুরো বিএনপিই এখন হোম আইসোলেশনে: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২০
পুরো বিএনপিই এখন হোম আইসোলেশনে: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে এবং তার নেতৃত্বে দলের নেতারাসহ পুরো বিএনপিই এখন হোম আইসোলেশনে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হঠাৎ হঠাৎ টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা ছাড়া বিএনপির আর কোনো কাজ নেই।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘করোনা মোকাবিলা করা এমন কঠিন কিছু ছিল না’-এ মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে মনে হয় সারা দুনিয়ায় সবদেশের ক্ষেত্রেই করোনা মোকাবিলা এমন কঠিন কিছু ছিল না, অথচ উন্নত দেশগুলোসহ পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে।

যারা জনগণের পাশে নেই, জনগণের জন্য কিছু করছেন না, হঠাৎ হঠাৎ টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে এ ধরণের কথা বলা তাদেরই মানায়। দায়িত্বপূর্ণ জায়গা থেকে এ ধরণের কথা বলা সমীচীন নয়। সমগ্র পৃথিবী আজ করোনা ভাইরাসের কারণে অসহায় এবং পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের তুলনায় অনেক সমৃদ্ধ হলেও করোনা মোকাবিলায় তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে, সেখানে মৃত্যুর মিছিল ছিল। সেই তুলনায় বাংলাদেশ সীমিত সামর্থ্যের একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখানকার শহরগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ। তা সত্ত্বেও, এখনো পর্যন্ত সরকার এবং বেসরকারি পর্যায়ের সমস্ত হাসপাতাল ও স্বেচ্ছাসেবীসহ  সম্মিলিতভাবে করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমরা অনেক উন্নত দেশের তুলনায় সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছি, বিশেষ করে মৃত্যুহার কম রাখার ক্ষেত্রে।   আমাদের দেশে মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম এবং ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে অনেক কমতো বটেই।

বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী’র মন্তব্য ‘মানুষের মুখ বন্ধ রাখতে সরকার মামলা করছে’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার কারো বিরুদ্ধে মামলা করেনি। সাম্প্রতিক সময়ে যে সমস্ত মামলা হয়েছে, সবগুলোই বিভিন্ন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি করেছেন। বিএনপির নেতারা জনগণ এবং সরকার দু’টিই গুলিয়ে ফেলছেন। জনগণের কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হন, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি তার সুরক্ষার জন্য যেকোনো আইনী পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার রাখেন। ’

এসময় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারই কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরপর তার ব্যাপারে পত্র-পত্রিকায় যে অনুসন্ধানী রিপোর্টগুলো বেরিয়েছে সেজন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ। এতে প্রমাণিত হয়, সে খুব সুচতুর একজন প্রতারক। এরকম আরও প্রতারক যারা আছে, আমাদের সম্মিলিতভাবে তাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

সাহেদ আওয়ামী লীগের সদস্য কি না এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সে দাবি করছে, সে আওয়ামী লীগের কোনো একটা উপ-কমিটিতে ছিল। কিন্তু আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তো আমি প্রতিদিন যাই। সে আওয়ামী লীগের কোনো উপ-কমিটির সদস্য ছিল বলে আমার জানা নেই। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।