ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

করোনা নিয়ে বিএনপি ও কিছু বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
করোনা নিয়ে বিএনপি ও কিছু বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত

ঢাকা: সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি ও কিছু বিশেষজ্ঞের শঙ্কা-আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, সরকার সারাদেশে জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে সামর্থ্য অনুযায়ী সমস্ত মানুষের জন্য চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে।

বুধবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের চতুর্থ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় এ সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সঠিক এবং সময়োচিত পদক্ষেপ ও একই সঙ্গে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতার কারণেই তিন মাসে বাংলাদেশে একজন মানুষও অনাহারে মারা যায়নি। দেশে কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই। খাদ্যের জন্য হাহাকারের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন, তাদের সেই মত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রেও সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আরো নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এগুলো ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে। আমরা যদি এভাবে এগিয়ে যেতে পারি, পরম সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমরা এই মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।

চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিভাগীয় কমিশনার জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে আইসিইউ বেড ১৯৬টি। এরমধ্যে কিছু বেড খালিও আছে। অর্থাৎ, এখানে শুরুতে যে সংকট ছিল, এখন তা নেই। চট্টগ্রামের রোগীরা যাতে আরো ভালোভাবে চিকিৎসা সুবিধা পায় সেজন্য আমরা সর্বোত্তভাবে চেষ্টা করছি, চট্টগ্রামে নিয়মিত সমন্বয় সভা করছি। স্থানীয়ভাবে বিষয়গুলো দেখভাল করার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে যে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, তারাও কষ্ট করে অনেক কাজ করেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় কোভিড-১৯ টেস্টের ব্যবস্থা করে যে উদাহরণ তৈরি করেছে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের অনুসরণ করবে বলে আমি আশা করি। এসময় চট্টগ্রামে করোনা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এবং প্রয়োজনে লাশ দাফনের কাজে এগিয়ে আসা মানুষ ও সংগঠনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, জীবন ও জীবিকা রক্ষা দু’টির মধ্যে সমন্বয় করেই নানান সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, সেজন্য এখন এলাকাভিত্তিক রেড জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে। চিহ্নিত এলাকায় যেসব বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন, আমাদের অবশ্যই কঠোরভাবে সেগুলো মানতে হবে। তাহলেই আমাদের পক্ষে নিজেদের, নিজের পরিবার, নিজের কাছের জনদের সুরক্ষা দেওয়া, সর্বোপরি মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০ 
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।