ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

গণতন্ত্রের মুক্তি হোক-মানুষের মুক্তি হোক: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
গণতন্ত্রের মুক্তি হোক-মানুষের মুক্তি হোক: মির্জা ফখরুল .

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ ধরনের মহামারির পরে পরিবর্তন আসে। যুগের পরিবর্তন হয়। সভ্যতার পরিবর্তন হয়ে যায়। আসুন আমরা সবাই মিলে এ পরিবর্তনকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাই। গণতন্ত্রের মুক্তি হোক-মানুষের মুক্তি হোক। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্তি পাক ও পরিপূর্ণভাবে বাংলাদেশ মুক্তি পাক-এ হলো আমাদের অঙ্গীকার।

শনিবার (৩০ মে) বিকেলে জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

করোনা ভাইরাস সংক্রামণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা নতুন অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, এ ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠান যা একেবারেই আমাদের জন্য নতুন বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের কাছে এটা একেবারেই নতুন।

অনেকে আমাকে বলেছেন, সামনে শ্রোতা থাকবে না, দর্শক থাকবে না- আমরা কার সামনে বক্তব্য রাখবো।  আপনি আজকে তিন লাখের উপরে মানুষের সামনে, চার লাখের উপরে মানুষের সামনে বক্তব্য রেখেছেন। সুতরাং পরিবর্তনটাকে ধরতে হবে।

জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেবের সবচেয়ে বড় অবদান তিনি এ জাতিকে একটি স্বতন্ত্র দিয়েছিলেন, একটি পরিচয় দিয়েছিল। সেজন্য যখন তিনি শাহাদাত বরণ করলেন, তার জানাজায় লাখ লাখ ক্রন্দরত মানুষের সামনে ইমাম সাহেব আল্লাহর দরবারে হাত তুলে এ কথা প্রার্থনা করলেন যে, আল্লাহ বাংলাদেশকে হেফাজত করুন। তখন সেই লাখ লাখ মানুষ ঢুকরে কেঁদে উঠেছিলো। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান একাকার হয়ে গিয়েছিলো। সেই কারণে জিয়া, জিয়ার দর্শন, জিয়ার ধানের শীষ বাংলাদেশের মানুষের কাছে আজো এতো প্রিয়। স্বাধীনতার এ পতাকা হাতে তুলে দিয়ে গিয়েছিলেন তারই যোগ্য উত্তরসূরী খালেদা জিয়ার হাতে। আর সেই সঙ্গে পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লাখ-কোটি স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে, গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে জিয়া কখনো মরে না। আজকে গণতন্ত্রবিহীন, মানবতাহীন নির্মম এ রাষ্ট্রে জিয়া অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সংগ্রাম গণতন্ত্রের জন্য, সংগ্রাম স্বাধীনতার জন্য, সংগ্রাম মুক্তির জন্য-আজকের এদিনে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।  

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে এদেশে টিকিয়ে রাখতে হলে এদেশের জনগণের স্বার্থে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। জনগণ এ বিএনপির পেছনে আছে। অতীতে যেসব নির্বাচন প্রত্যেকটাতে প্রমাণিত হয়েছে যে, সরকারি দল যারা এখন দেশ পরিচালনা করছে তারা বুঝতে পেরেছে জনগণ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, বিএনপির ওপর শত নিপীড়ন-নির্যাতনের পরে জিয়ার আদর্শে গড়া বিএনপি এখনও টিকে আছে, টিকে থাকবে। একে কেউ নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমানের সবকিছুতে একটা দুরদর্শিতা ছিল-এটা আমার মনে হয়েছে। তিনি রাজনীতিতে এসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে গিয়ে বলেছেন, আই মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট। এটার অপব্যাখ্যা হয়েছে। অর্থাৎ ঘরে বসে পাঁচ বছর পর আমি মন্ত্রী-এমপি হবো।

মির্জা ফখরুলের পরিচালনায় এ আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান (অব.) মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান (অব.) মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

দলীয় নেতারা জানান, রাজধানীর গুলশানে ফিরোজায় অবস্থান করা দলের চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়া ও লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইন্টারনেটে এ ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা শুনেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।