ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বাঙালি জাতি কখনই স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নেয়নি: ড. কামাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২০
বাঙালি জাতি কখনই স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নেয়নি: ড. কামাল

ঢাকা: বাঙালি জাতি কখনই স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নেয়নি, নেবেও না বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর এবং মুক্তির দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

 

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশের ১৬ কোটি মানুষের অধিকার হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র থাকবে। প্রকৃত অর্থে নির্বাচিত সদস্যরা দেশ পরিচালনা করবেন। সেখানে আজকে আমাদের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। ’ 

তিনি বলেন, ‘দেশের ইতিহাস থেকে আমরা দেখেছি, জনগণকে বঞ্চিত করে এখানে কেউ স্বৈরতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারেনি। আজকে যারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের সেই ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখা উচিত। বাঙালি জাতি কখনই স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নেয়নি, নেবেও না। ’ 

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। মালিক হিসেবে দেশের জনগণকে যেন সম্মান জানানো হয়। মালিক হিসেবে দেশের জনগণ যেন ভূমিকা রাখতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়ে জনগণের এ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের জনগণকে বঞ্চিত করে সরকার দেশ চালাচ্ছে, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। ’ 

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করছে। সরকার স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করতে যাচ্ছে। মানুষকে বঞ্চিত করে স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন এটা একটা প্রহসন। যারা এ প্রহসন করছে জনগণের সঙ্গে এখন সময় এসেছে তাদের সহজ ভাষায় বলার, সরে দাঁড়াও, সরে দাঁড়াও, সরে দাঁড়াও। ’ 

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতা আত্মসাৎ করে, স্বৈরতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার যে অপচেষ্টা চলছে, যেভাবে দুর্নীতি, কুশাসন, যেভাবে মানুষের বিরুদ্ধে অত্যাচার চলছে, লাখ লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া এটা আর মেনে নেওয়া যায় না। এমন স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষ ও শহীদদের প্রতিও অসম্মান জানানো হচ্ছে। ’ 

দেশের জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যে দেশ লাখ লাখ প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে, সেই দেশে আমাদের দাবি আদায়ের জন্য সভা করতে হয়, এটা দুঃখের বিষয়। এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে সামনে রেখে মাঠে নামতে হবে এবং আমরা আমাদের দাবি-ধাওয়া অর্জন করে ছাড়বো। যারা দেশের ক্ষমতাকে আত্মসাৎ করেছে তাদের চিহ্নিত করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করতে হবে। ’ 

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতার এতোদিন পরেও দেশে বিরোধীদলের নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সভা করতে হবে, দাবি করতে হবে, এটা অকল্পনীয়-কষ্টের বিষয়। ’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
আরকেআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।