ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

আ’লীগে রাজাকার সহযোগীদের চিহ্নিত করার দাবি তৃণমূলের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
আ’লীগে রাজাকার সহযোগীদের চিহ্নিত করার দাবি তৃণমূলের

ঢাকা: রাজাকার, জামায়াত-শিবিরসহ যারা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেছে, তারা দলকে আদর্শ বিচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের জেলা নেতারা। দলের মধ্য থেকে এদের সহযোগিতাকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ দাবি জানান। এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা সুকৌশলে আমাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। বিশেষ করে জামায়াত-শিবির। তারা আমাদের নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছে।

রাজাকারদের সহযোগিতাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দলে অনুপ্রবেশকারীদের স্থান দিয়ে আমাদের মধ্যে যারা সহযোগিতা করছে, যারা রাজাকারদের সহযোগিতা করছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাজাকাররা যেন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধারা যেন রাজাকারদের তালিকায় না যায়, তা দেখতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন তিনি।

রাজাকারমুক্ত করে জেলার সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলার সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, আলবদর-রাজাকার যারা সংগঠনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে, তাদের আর রাখব না।

সংগঠনকে হাইব্রিডমুক্ত করার দাবি জানিয়ে রাজশাহী জেলার সভাপতি মেরাজ মোল্লা বলেন, যারা ২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগে এসেছে, সেই হাইব্রিডদের কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, দল ও পদ যেন কেউ উপার্জন বা ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

দল ও সরকারকে আলাদা করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দল ও সরকারকে আলাদা করতে হবে। তাহলেই দলকে সুসংগঠিত করা সম্ভব হবে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কোরাইশি, পটুয়াখালী জেলার সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন ও বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কশৈহ্লা।

তীব্র ঠাণ্ড ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের এ কাউন্সিল অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করে আট বিভাগ থেকে আটজন জেলা নেতাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

তবে শেষ পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের একজন করে এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু’জন মিলে ছয় বিভাগের মোট সাতজন বক্তব্য রাখেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিনিধি হিসেবে বান্দরবান সভাপতিকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এছাড়া ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কেউ বক্তব্য দেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এসকে/এমইউএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।