ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

রাজাকারের তালিকায় অধিকাংশই আ’লীগের নেতাকর্মী: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
রাজাকারের তালিকায় অধিকাংশই আ’লীগের নেতাকর্মী: রিজভী

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে কেলেঙ্কাকারির জন্ম দিয়েছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে এবার আওয়ামী লীগ নিজেরাই ফেঁসে গেছে। প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় দেখা যায়, অধিকাংশই আওয়ামী লীগের চিহ্নিত নেতাকর্মী।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, তালিকা প্রকাশের ঘটনায় জনগণ বিস্মিত নয়।

কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় জনগণের সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।  রাজাকারের তালিকা সঠিক নয় বলে সমালোচনা করছেন আওয়ামী লীগের কিছু নেতা। আবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন তালিকায় বেশি ভুল প্রমাণিত হলে তা প্রত্যাহার করা হবে। কতটা হাস্যকর তাদের এই বক্তব্য।
 
তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তারাই এখন মিথ্যা অপপ্রচারে আর কুৎসা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে। সর্বগ্রাসী দখল এবং কূটকৌশলে অবৈধ ক্ষমতা নিরাপদ করার জন্য এখন দেশকে নানাভাবে বিভাজন ও বিভ্রান্তির কুয়াশায় ঢাকতে চাইছে এই সরকার। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারো কারো বিচার হয়েছে। আবার কেউ কেউ আত্মীয়তার বন্ধনের কারণে দিব্যি বহাল তবিয়তে আছেন।

রিজভী বলেন, দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় পর কারারুদ্ধ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার স্বজনদের দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আদালতে পেশ করা মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টের সঙ্গে শারীরিক অবস্থার বাস্তবে কোনো মিল পাননি, দেখতো যাওয়া তার বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে নিঃশেষ করাটাই এই সরকারের অভিপ্রায়। বাস্তবে তাই হতে চলেছে। তিনি বর্তমানে ভয়াবহ জীবন-মৃত্যুর সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন। আমি বলতে চাই, দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি বন্ধ করুন। তাকে দ্রুত মুক্তি দিন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।