ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

‘যার নির্দেশে জামিন হয়নি, তার নির্দেশেই সাক্ষাৎ বাতিল’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
‘যার নির্দেশে জামিন হয়নি, তার নির্দেশেই সাক্ষাৎ বাতিল’ রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ফটো

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) যার নির্দেশে জামিন দেওয়া হয়নি, তার নির্দেশেই শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।  

খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ বাতিলের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, আজ ৩১ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও খালেদা জিয়ার স্বজনদের তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

অথচ আজ সাক্ষাতের অনুমতি ছিল। বলা হয়েছে, উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি।  

তিনি বলেন, আকস্মিকভাবে শনিবার দুপুর ২টার সময় অনুমতি বাতিলের কথা জানানো হয়। আমরা বলতে চাই, উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে? তিনি কত উচ্চতায় অবস্থান করেন- এটি জেল কর্তৃপক্ষ না জানলেও জনগণ ভালোভাবেই জানে। গত বৃহস্পতিবার আদালতকে দিয়ে যার নির্দেশে দেশনেত্রীর জামিন আবেদন খারিজ হয়েছে, সেই উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই শনিবার অনুমতি থাকার পরেও তার সঙ্গে স্বজনরা দেখা করতে পারলেন না।  

বিএনপি নেতা বলেন, যখনই কোনো অবৈধ শাসক নিরঙ্কুশ ক্ষমতার চূড়ান্ত পর্যায়ে ওঠে, তখন তাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। তারা বোঝে না যে, গণেশ যেকোনো মুহূর্তে উল্টে যেতে পারে। বর্তমান সরকারেরও কোনো বৈধতা নেই এবং তাদের বদ্ধ দরজায় পতনের কড়া নড়ছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের অনিয়ম তুলে ধরে গোটা নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেছে। তারা এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। এই ইসির মাধ্যমেই মধ্যরাতের সিলেকশনে অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। সুতরাং সেই সরকারের পতন অনিবার্য। সরকারের আসন্ন পতনে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করতে পারবে না।

কর্মসূচি:
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। ঢাকা মহানগরের থানায় থানায়ও বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

১৫ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখবেন।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে দলের জাতীয় নেতাদের সঙ্গে সর্বস্তরের নেতাকর্মী বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তারা। পরে সকাল ১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, আবদুল আওয়াল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এমএইচ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।