ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ রোববার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ রোববার

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। একইসঙ্গে ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আজকে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

এ রায়ে সারাদেশের মানুষ হতাশ ও ক্ষুব্ধ। মানুষ আশা করেছিল, দেশের সর্বোচ্চ বিচার ব্যবস্থা মানুষের সর্বশেষ আশা-আকাঙ্ক্ষার স্থল সেখান থেকে তাদের নেত্রীর সুষ্ঠু বিচার পাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখান থেকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, আজকে মানুষের যে আস্থা রাষ্ট্রের প্রতি রয়েছে, সে আস্থা যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে রাষ্ট্রের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের সব গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলো আস্তে আস্তে ধ্বংস করে দিয়েছে। ২০১৪ সালে তারা একটি পুতুল সরকার গঠন করেছিল আর এবারের নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বরের আগে ২৯ তারিখ ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। এটা করে আবারও একটা অবৈধ অগণতান্ত্রিক সরকার গঠন করেছে। তখন থেকে আমরা লক্ষ্য করছি তারা বিচার ব্যবস্থা দুর্বল করে ফেলেছে, প্রশাসন দখল করেছে, পার্লামেন্টে একদলীয় করে ফেলেছে এবং মিডিয়ার ওপর জোর করছে।

সারাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারা এদেশে মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতির সৃষ্টি করেছে। যাতে করে সবাই ভয়ের মধ্যে থাকে। মামলা হচ্ছে তাদের প্রধান অস্ত্র। আর সেই অস্ত্র তারা প্রথম থেকেই ব্যবহার করে আসছে। রাজনৈতিকভাবে তারা এতোটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, বিরোধীদলকে তারা মোকাবিলা করতে ভয় পাচ্ছে। তাই প্রশাসনকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। আজকের এ রায়ে আমরা হতাশ স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। আমরা দিনগুলোকে এজন্যই স্মরণ করতে চাই দেশের মানুষের রক্ত ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু আমাদের সামনে যে মূল চেতনা ছিল, সেটি ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। কিন্তু আজ ৪৮ বছর পরেও আমরা দেই স্বপ্ন লালন করেছি, সে স্বপ্ন তারা আজ খানখান করে দিয়েছে। আমরা এ দিনটিকে আরও বেশি করে স্মরণ করতে চাই, কারণ এ চেতনাকে ধারণ করে যাতে করে আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারি। এর জন্য যিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে যাতে মুক্ত করতে পারি সেজন্যই আমরা এ দিনগুলোকে যথাযোগ্য মর্যাদার সহিত পালন করতে চাই।
 
জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে সংসদ বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
 
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুরু হওয়া বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, সিনিয়র আইনজীবী জয়নাল আবেদীন।  

বৈঠকে স্কাইপের মাধ্যমে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।