ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অন্যান্য দল

‘খালেদা জিয়ার জামিন ঠেকানো নিয়ে ব্যস্ত সরকার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
‘খালেদা জিয়ার জামিন ঠেকানো নিয়ে ব্যস্ত সরকার’

ঢাকা: সরকার খালেদা জিয়ার জামিন ঠেকানো নিয়ে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং কেরানীগঞ্জে আগুনে পুড়ে নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মানববন্ধনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, খুলনা, পাবনায় পাটকল শ্রমিকরা আন্দোলন করছে।

অসুস্থ হয়েও তিন দিন ধরে বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করছে। কারণ তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা দেখছি এ নিয়ে সরকারের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। ১৯৭১ সালের আগে এই পাট শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিকরাই পূর্ব পাকিস্তানের রাজপথ কাঁপিয়ে দিয়েছিল। স্বাধীনতার পরে পাটকলগুলো রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়করণের কারণেই পাট শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে।

শ্রমিকদের দাবির কথা উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকের শ্রমিকরা কী চাচ্ছেন। ২০১৫ সালে তাদের জন্য মজুরি কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে। এখন ২০১৯ সাল। ২০১৯ সালেও পাটকল শ্রমিকদের মজুরি কমিশন সরকার বাস্তবায়ন করেনি। মজুরি কাঠামোতে বেতন দেওয়া হচ্ছে। সেই বেতনও বকেয়া। শ্রমিকদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে এ কারণে  আন্দোলন করছে। শ্রমিকদের দিকে তাকানোর সময় এই সরকারের নেই। সরকার ব্যস্ত খালেদা জিয়ার জামিন ঠেকানো নিয়ে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের আজকের বাস্তবতা।

পুরনো ঢাকার প্লাস্টিক কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দুটি কারখানায় আগুন লাগলো। অনেক মানুষ জীবন্ত পুড়ে মারা গেলো। আমরা দেখলাম। এই সরকারের কি কোনো মাথাব্যথা আছে? একের পর এক কারখানায় আগুন লেগেছে আমরা দেখেছি। তারপরও সরকারের কোনো মাথা ব্যথা ছিল না।

কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানার কোনো অনুমোদন ছিল না। এলাকার এমপি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাহেব পরিদর্শনে গেছেন। তিনি বলেছেন, এই কারখানার কোনো অনুমোদন নেই। একজন মন্ত্রী পরিদর্শন করে বলে দেবেন অনুমোদন ছিল না। আপনি এলাকার সংসদ সদস্য, কীভাবে আপনার নাকের ডগায় এই কারখানা চলে। জবাব আপনাকে দিতে হবে। গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছেন বলেই আপনার কাছে কোনো জবাব নেই।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তসলিমা আখতার, সংগঠনটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাবু ভূঁইয়া, মনির উদ্দিন পাপ্পু, জুলহাস নাইন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এমএমআই/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।