ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

জিয়া যুদ্ধ করেছেন পাকিস্তানের স্পাই হিসেবে: শেখ সেলিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
জিয়া যুদ্ধ করেছেন পাকিস্তানের স্পাই হিসেবে: শেখ সেলিম

কুমিল্লা: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের স্পাই (গুপ্তচর) হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ সেলিম।  

বিএনপি ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, জিয়া বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না।

তার জন্ম পাকিস্তানে। তার বাবা-মায়ের কবরও পাকিস্তানে। তিনি পাকিস্তানের ঠিকানাতেই সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। আর যুদ্ধ করেছেন পাকিস্তানের স্পাই হয়ে।  

বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন দাবি করে শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন। আজ যদি জিয়া বেঁচে থাকতেন, তাহলে অন্যান্য খুনীদের মতো তারও ফাঁসি হতো। মৃত মানুষের বিচার হয় না। এ জন্য জিয়া ও মোস্তাকদের বিচার হয়নি। বেঁচে থাকলে তাদেরও বিচার হতো।

সাবেক এ মন্ত্রী আরও বলেন, ৭১-এর ৫ মে মেজর আসলাম বেগ এক চিঠিতে জিয়াকে লেখেন- ‘তোমার স্ত্রী ও সন্তানদের কোনো চিন্তা করো না, তোমার কর্মকাণ্ডে আমরা খুশি। তোমাকে নতুন কাজ দেওয়া হবে। তুমি মেজর জলিল থেকে সাবধান থেকো’। ওই চিঠির মানে কী দাঁড়ায়? তিনি স্পাইং (চরের কাজ) করছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের খবরাখবর পাকিস্তানে পাঠাচ্ছিলেন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফও বিএনপির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আদালতে বিএনপির আইনজীবিদের হট্টগোল নজিরবিহীন ঘটনা। শুধু বাংলাদেশ কেন পৃথিবীর কোনো দেশেই প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এমন হট্টগোলের নজির নেই।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ সেলিম। প্রথম অধিবেশন শেষে দুপুরের খাবারের বিরতির পর দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়নি। এদিন কোনো কমিটি ঘোষণা ছাড়াই সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আউয়াল সরকারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাড. আব্দুল মতিন খসরু, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আবদুস সবুর।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এম. হুমায়ূন মাহমুদের সঞ্চালনায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. নিজামুল হক। সাংগঠনিক প্রতিবেদন পাঠ করেন- কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার।

এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, সেলিমা আহমাদ মেরী, রাজি মোহাম্মদ ফখরুল মুন্সি, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মু. রুহুল আমিন প্রমুখ।  

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, চান্দিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা তপন বকসী, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মহিউদ্দিন আহমেদ আলম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও চান্দিনা পৌরমেয়র মো. মফিজুল ইসলাম, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. বাহার উদ্দিন বাহার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাউছার অনিক, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯  
এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।