ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

আশুলিয়ায় যুবলীগ নিয়ে ফেস্টুন, আলোচনা সর্বত্র

সাভার করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
আশুলিয়ায় যুবলীগ নিয়ে ফেস্টুন, আলোচনা সর্বত্র

আশুলিয়া (ঢাকা): এবার কাকের ছবি দিয়ে ‘কাউয়া ও হাইব্রিড মুক্ত আশুলিয়া যুবলীগ চাই’ লিখে ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে সাভারের আশুলিয়ার বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে। প্রচারকারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে ‘উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষের জনগণ’। এখন এ ফেস্টুন নিয়েই আলোচনা সর্বত্র।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর, বাইপাইল, পল্লীবিদ্যুৎ, নবীনগর ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের শিমুলতলা, জামগড়া, জিরাবো, সরকার মার্কেট ও আশুলিয়ার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে এসব ফেস্টুন দেখা যায়।

এর আগেও এ ধরনের ফেস্টুন দেখা গেছে আশুলিয়ার নবীনগর, চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে।

সেখানেও কাকের ছবি দিয়ে লেখা ছিলো ‘কাউয়া ও হাইব্রিড মুক্ত যুবলীগ চাই। প্রচারে আশুলিয়া থানা যুবলীগ’। সেই ফেস্টুনগুলো নিয়ে মামলা পর্যন্তও হয়েছে।

নতুন করে টাঙানো ফেস্টুনের কিছুতে লেখা ‘কাউয়া ও হাইব্রিড মুক্ত যুবলীগ চাই’, আবার কিছুতে লেখা ‘নাশকতা মামলার আসামি মুক্ত আশুলিয়া থানা যুবলীগ চাই’, সেখানে মামলা নম্বর ও তারিখ পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। (মামলা নং- ৬৩, তাং ২৭-১০-১৩)।

ওই মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আশুলিয়া থানায় দায়ের করা মামলাটিতে ৬৬টি জনকে নাশকতা ঘটানোর অভিযোগে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালে বিএনপি জোটের ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সময় আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাসকে লক্ষ্য করে হাতবোমা ছুড়ে মারা হয়। পরে বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করায় গাড়িটির ৯০ ভাগ আগুনে পুড়ে গেলে বাসের মালিক মোতালেব হোসেন ওই দিনই আশুলিয়া থানায় ঢাকা-১৯ আসনের (সাভার ও আশুলিয়া) বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন বাবুকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। সেখানে বর্তমান আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ ছিল।

জানা যায়, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহব্বায়ক কবির হোসেন সরকার তিন মাসের জন্য থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি পান। গত দুই বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটির রূপ দিতে পারেনি তিনি। এ নিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশার জন্ম নিয়েছে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবলীগ নেতা বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান যুবলীগ নেতা নিজের আত্মীয়-স্বজনদের কমিটিতে স্থান দিয়েছে। যারা দুঃসময়ে রাস্তায় ছিলো, যারা দলকে ভালবেসে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছে তাদের তিনি কমিটিতে পদ দেননি। নাশকতাসহ আট মামলার আসামি কবির সরকার। যুবলীগের ঐতিহ্য বিতর্ক থেকে মুক্তি পেতে হলেও বিতর্কিত ব্যক্তিবর্গকে পদ থেকে অপসারণ করা উচিত।

এ বিষয়ে বর্তমান যুবলীগের আশুলিয়া থানার আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।  

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আগেও শুনেছি। এ কাজের কারণে শুধু যে যুবলীগের সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে তাই নয়, এতে প্রধান সংগঠন আওয়ামী লীগেরও সুনাম নষ্ট হচ্ছে। কে বা কারা এই কাজ করছে তা বের করার জন্য কাজ চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এনটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।